পিরোজপুরের কাউখালীতে পৈতৃক জমিতে ঘর তুলতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে শহিদুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভোগী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
শহিদুল ইসলাম উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের বুরজুক আলী হাওলাদারের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আমার পৈতৃক জমিতে একটি নতুন ভবন তুলতে গেলে জমির মালিকানা দাবি করে প্রতিবেশী শাহনাজ পারভীন, শেফালী বেগম, হুমায়ূন কবির, রিনা বেগম, সীমা বেগম এবং কবির খান বাঁধা দেয়। এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানা-পুলিশের উপস্থিতিতে সালিস বৈঠকে আমাকে ঘর তোলার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর আমি ঘর তোলার কাজ অব্যাহত রাখলে অভিযুক্তরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপর আমিও ইউএনওর কাছে আরেকটি অভিযোগ দেই। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা পিরোজপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে এবং সে মামলার ভিত্তিতে আদালত ঘর নির্মাণের স্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে নির্মাণ কাজ বন্ধের আদেশ দেন।’
শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আদালতের আদেশ অমান্য করে অভিযুক্তরা নির্মাণাধীন ঘরটি ভেঙে ফেলে। এ সময় তারা অস্থায়ীভাবে নির্মিত একটি ঘরও ভেঙে ফেলে যেখানে আমিও আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাস করছিলাম। অভিযুক্তরা সেখানে থাকা ঘরের টিনও লুট করে নিয়ে যায়।’
বর্তমানে অভিযুক্তরা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন এবং তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান শহিদুল ইসলাম।