চীনের হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফরে গিয়ে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। একজন গৃহিণী থেকে পেলোসির বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নারী হয়ে ওঠার পথপরিক্রমা উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
৮২ বছর বয়সী ন্যান্সি পেলোসির জন্ম ১৯৪০ সালে, মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরের একটি রাজনৈতিক পরিবারে। বাবা ছিলেন সেখানকার মেয়র। সাত ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। ওয়াশিংটনে কলেজে পড়ার সময় আলাপ হয় বিত্তবান পল পেলোসির সঙ্গে। তাঁকে বিয়ে করে সান ফ্রান্সিসকোতে একজন সাধারণ গৃহিণীর জীবনযাপন শুরু করেছিলেন ন্যান্সি। পাঁচ সন্তানের মা পেলোসি তাঁর রাজনীতির ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৭৬ সালে। ১৯৮৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে কংগ্রেসে আসন লাভ করেন। ৩৫ বছর ধরে পেলোসি ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোর প্রতিনিধিত্ব করছেন কংগ্রেসে।
২০০৩ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নেতৃত্বে ইরাক যুদ্ধের তুমুল বিরোধিতা করে আলোচিত হয়েছিলেন ন্যান্সি পেলোসি। তৎকালীন সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে কার্যকরী ভূমিকা রেখে প্রশংসিত হন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে অভিশংসন ইস্যুতে ট্রাম্পের নামের সঙ্গে অপর যে নামটি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে সেটি হলো ন্যান্সি পেলোসি। ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অন্য নেতারা যখন মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন, তখন সরব ভূমিকা ছিল মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির।
ন্যান্সি পেলোসি চীন সরকারের নীতির দীর্ঘদিনের সমালোচক। ৩০ বছরেরও বেশি সময় আগে, ১৯৮৯ সালে বেইজিংয়ে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের বহুল আলোচিত বিক্ষোভের পক্ষে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি চীন ইস্যুতে ফের আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনায় ন্যান্সি পেলোসি। বেইজিংয়ের কড়া হুঁশিয়ারির পরও তাইওয়ান সফরে গেছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের এই স্পিকার। গত ২৫ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলটিতে সর্বোচ্চ কোনো মার্কিন কর্মকর্তার সফর এটি। চীন বারবার তাঁর তাইওয়ান সফরের বিরুদ্ধে সতর্ক করে আসছিল। গতকাল মঙ্গলবার চীন বলেছে যে এই সফরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ‘মূল্য দিতে হবে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি ও এনডিটিভি
বিশ্লেষণ সম্পর্কিত আরও পড়ুন: