শিশুরা ভালোভাবে তখন শেখে, যখন তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি সেগুলোকে তাদের নিজস্ব ধারণার মাধ্যমে বুঝতে দেওয়া হয়। নিজস্ব ধারণা এবং আগ্রহ বিকাশের সুযোগ দেওয়া হলে শিশুরা কেবল জ্ঞান অর্জন করবে না, বরং সেই জ্ঞানকে ব্যবহার করাও শিখবে। এই পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ১৯১৫ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে একটি স্কুল খোলা হয়। যার প্রতিষ্ঠাতা মার্গারেট নাউমবার্গ।
দুই শিক্ষক এবং ১০ শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হওয়া এই স্কুলের লক্ষ্য ছিল শিশুদের নিজস্ব ধারণা এবং আগ্রহ বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া। ১৯২৮ সালে স্কুলটির প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্নাতক শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। এরপর ১৯৩০ সালের দিকে নাউমবার্গ মানসিক রোগীদের জন্য আর্ট থেরাপি প্রোগ্রাম তৈরি শুরু করেন। তিনি আর্ট থেরাপি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথম মনোচিকিৎসক হিসেবে কৃতিত্ব অর্জন করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, এই পদ্ধতি মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা নির্ণয় এবং চিকিৎসা—উভয় ধরনের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যেতে পারে। ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত হয় মার্গারেট নাউমবার্গের ‘ডায়নামিক্যালি ওরিয়েন্টেড আর্ট থেরাপি’ বইটি।
অচেতনের ওপর ফ্রয়েডীয় তত্ত্ব বাদ দিয়ে আর্ট থেরাপি এখনো একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। নাউমবার্গ তাঁর তত্ত্বের ওপর বেশ কয়েকটি বই লেখেন। ১৮৯০ সালের ১৪ মে নিউইয়র্কে জন্ম নাউমবার্গের। ১৯৮৩ সালের
২৬ ফেব্রুয়ারি ম্যাসাচুসেটসের নিডহ্যামে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।