হোম > নারী

নারীর অদৃশ্য অবদানের স্বীকৃতি: অভিনন্দন জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রথম হাউসহোল্ড প্রোডাকশন স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্টস (এইচপিএসএ) প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) তাদের প্রথম হাউসহোল্ড প্রোডাকশন স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্টস (এইচপিএসএ) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার যাত্রায় যুগান্তকারী তথ্য প্রকাশের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে অভিনন্দন জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। প্রতিবেদনে অবৈতনিক গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্দেশ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ১৮ দশমিক ৯ শতাংশের সমান। দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হলেও এই ফলাফলকে জাতীয় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার মূল ভিত্তি হিসেবে থাকা অদৃশ্য শ্রমের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচনা করছে এমজেএফ।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কেবল অবৈতনিক গৃহস্থালি কাজের আর্থিক মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ কোটি টাকা। এতে নারীর অবদান ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। এই তথ্য নারীর অর্থনৈতিক অবদানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে; যা এত দিন অবমূল্যায়িত ছিল।

এমজেএফ সরকারকে এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার জন্য প্রশংসা জানিয়েছে এবং এই ঐতিহাসিক প্রতিবেদন প্রণয়নে জাতিসংঘ নারী সংস্থা এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)

এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এই প্রতিবেদন প্রকাশকে বাংলাদেশে জেন্ডার সমতার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যেখানে নারীর অস্বীকৃত ও অবমূল্যায়িত গৃহস্থালি কাজ অবশেষে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, এটি সমাজে নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গৃহস্থালি কাজে নিয়োজিত নারীরা আরও স্বীকৃতি ও সম্মান পাবেন।’

এই ফলাফল এমজেএফের দীর্ঘদিনের ‘সমতায় মর্যাদা’ প্রচারণার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। নারীর অবদানকে স্বীকৃতি দিতে, পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যাদা বাড়াতে এবং সহিংসতা ও বৈষম্য কমাতে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সাল থেকে শুরু করে এ প্রচারণা। বিবিএস জরিপের ফলাফল এমজেএফসহ আরও বহু নাগরিক সংগঠনের বছরের পর বছর ধরে চালানো অক্লান্ত প্রচেষ্টাকে বৈধতা দিয়েছে।

প্রতিবেদনটির সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য এমজেএফ সরকারকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছে। প্রতিষ্ঠানটি আন্তমন্ত্রণালয় কাঠামো গঠন করে অবৈতনিক কাজকে জাতীয় আইন ও নীতিমালার অন্তর্ভুক্তকরণ, যথাযথ বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য নিয়মিত তথ্য সংগ্রহের ওপর জোর দিয়েছে। এমজেএফ আশা প্রকাশ করেছে, এসব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ দ্রুত অনুসরণ ও বাস্তবায়িত হবে, যাতে এ তথ্য বাস্তব জীবনে অর্থবহ পরিবর্তন বয়ে আনে।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন একটি বেসরকারি সংস্থা, যা বাংলাদেশে মানবাধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে। অ্যাডভোকেসি, অংশীদারত্ব ও কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে এমজেএফ এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে কাজ করে, যেখানে প্রত্যেকে, বিশেষত নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, মর্যাদা ও সমতার সঙ্গে বসবাস করতে পারে।

দিলরুবা হক মিলি: বনরক্ষী এক নারীর গল্প

অতীতের আলো, বর্তমানের অন্ধকার

জন্মনিবন্ধন করতে বাবার এনআইডি বা তথ্য বাধ্যতামূলক নয়

নারী আন্তর্জাতিক পেশাদার বক্সিংয়ে হিজাব, নিরাপত্তা নাকি প্রথা

পরিবেশ নিয়ে সরব দুই অভিনেত্রী

বিস্মৃত ছবিতে সামনে এল ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে নারীদের নেতৃত্ব

‘সচেতনতার অভাব ও সামাজিক কাঠামোর বৈষম্য নারীদের এগিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে’

‘নারীর সাফল্য অনেক পুরুষকে শঙ্কিত করে, এই শঙ্কাই সহিংসতা বাড়িয়ে দিচ্ছে’

রীমার ‘আয়নাবিবির গহনা’

শ্বশুর-শাশুড়ি বা অন্য কেউ স্বামীর হয়ে তালাক দিতে পারেন না