নেইমারের চেয়ে লিওনেল মেসিই বেশি ফাইনাল খেলেছেন। গত সাত বছরে এ নিয়ে চারবার ফাইনাল খেলা হলো মেসির। কিন্তু ফাইনাল খেলেই শেষ নয়, জিততে হবে শিরোপা। এই জায়গায় মেসির চেয়ে নেইমার কিছুটা এগিয়ে থাকবেন। নেইমার ২০১৩ কনফেডারেশনস কাপ জিতেছেন। এখন পর্যন্ত মেসির আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপা নেই।
মেসির আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেক ২০০৫ সালে। এখন পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপ, পাঁচটি কোপা আমেরিকা খেলেছেন। কিন্তু এখনো জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা জেতা হয়নি আর্জেন্টিনার এই মহাতারকার। মেসি অবশ্য একাধিকবার শিরোপার কাছাকাছি গেছেন, কিন্তু ছুঁতে পারেননি। ২০০৭ কোপা ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরে তাঁর শিরোপা হারের হতাশাটা শুরু। ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে মারিও গোটশের শেষ মুহূর্তের গোলে জার্মানরা মেসিদের শিরোপার স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেয়। এরপর ২০১৫, ২০১৬ কোপা। দুবারই প্রতিপক্ষ চিলি। দুবারই টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মেসিদের।
আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে মেসি
ব্রাজিলের জার্সিতে নেইমারের অভিষেক হয় ২০১০ সালে। এখন পর্যন্ত নেইমার দুটি বিশ্বকাপ আর তিনটি কোপা খেলেছেন। তাঁর খেলা ২০১৮ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নিতে হয় ব্রাজিলকে। ২০১৪ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে ৭-১ গোলে হেরে সেমিতেই বিদায় ব্রাজিলের। ওই ম্যাচে অবশ্য নেইমার খেলতে পারেননি। তাঁর অভিষেকের পর ব্রাজিল ২০১৯ কোপা জিতলেও চোটে পড়ে টুর্নামেন্ট খেলতে পারেননি নেইমার। মেসির মতো বিশ্বকাপ, কোপা জিততে না পারলেও নেইমারের শোকেসে একটি আন্তর্জাতিক শিরোপা আছে। ৩০ জুন, ২০১৩ রিও ডি জেনিরোতে স্পেনকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে কনফেডারেশনস কাপের শিরোপা শোকেসে তুলেছিল ব্রাজিল। ফাইনালে নেইমার একটি গোলও করেছিলেন।
রোববার রিও ডি জেনিরোতে কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল। বারবার শিরোপার কাছাকাছি এসে স্বপ্নভঙ্গের শিকার মেসির সুযোগ প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতার। আর নেইমারের সামনে সুযোগ থাকছে ক্যারিয়ারে আরও একটি শিরোপা যোগ করার।
আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে নেইমার