প্রথমবারের মতো মেয়েদের এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। তাদের স্বপ্নের দিগন্তে এখন নারী বিশ্বকাপও। মেয়েদের এএফসি বাছাইয়ে সাফল্যের পর দলকে নিয়ে প্রত্যাশার পারদ অনেক ওপরে। এতটাই যে, দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দলের সঙ্গে খেলতে আগ্রহী নয় বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল।
ভালো কোনো দলের সঙ্গে খেললে প্রস্তুতিটা ভালো হয়। সেই ‘ভালো’ দিকটা ভাবনায় রেখেই দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলোর বাইরের কোনো দলের সঙ্গে খেলতে বেশি আগ্রহী আফঈদা-ঋতুপর্ণা চাকমারা। আজ সংবাদ সম্মেলনে যেমনটা বললেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ, ‘দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দলের সঙ্গে খেলতে (আমরা) আগ্রহী নই।’
এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় কিংবা ইউরোপীয় দলের সঙ্গে বাংলাদেশ নারী ফুটবলারদের খেলার অনেক দিনের ইচ্ছে। তবে চাইলেও ফিফা উইন্ডোতে চাহিদামতো প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলার আয়োজন করা সম্ভব হয় না। কিরণ বললেন, ‘যত সহজে আমরা বলতে পারি, বাস্তবে তা করাটা খুবই কঠিন। কারণ, আমরা যে দলের সঙ্গে খেলতে চাই, আমাদের সূচির সঙ্গে তাদের সূচি মেলার ব্যাপার রয়েছে। তবে (ভালো দলের সঙ্গে) আমাদের খেলার পরিকল্পনা আছে।’
অনূর্ধ্ব-২০ মেয়েদের সাফের সূচি প্রকাশ করা হয়েছে আজ। স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে এই টুর্নামেন্ট আগামী পরশু শুরু হবে ঢাকায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নারী দলের কোচ পিটার বাটলারকে নিয়েও কথা বলেন কিরণ। নারী ফুটবলের স্থানীয় সব কোচ পিটার বাটলারের অধীনেই কাজ করবেন বলে জানান বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান, ‘মেয়েদের কোচিং স্টাফরা এভাবেই কাজ করে। বিগত দিনে যখন পল স্মলি ছোটন ভাইরা ছিলেন, তখন তাঁরা বয়সভিত্তিক ও সিনিয়র লেভেলে একত্রে কাজ করেছেন। এটাতে আমরা অভ্যস্ত এবং আমার মনে হয়, এটাই ভালো। কারণ, বয়সভিত্তিক দল আরেকজনের কাছে ছেড়ে দিলে তখন মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটবে। সেটা আমরা করতে চাই না।’
কিরণ আরও বলেন, ‘যখন সিনিয়রদের ম্যাচ থাকবে, সেখানে পিটার থাকবে, অনূর্ধ্ব-১৭ দলেও থাকবে। খেয়াল রাখবেন, অনুশীলনের রূপরেখা কিন্তু পিটারেরই করা। স্থানীয় কোচরা সেটির বাস্তবায়ন করবে।’