সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। তবে ২০২২ সালে সাফ জিতে যাঁরা বীরের বেশে দেশে ফিরেছিলেন, সেই দলের আটজনই এবার নেই। তাঁদের অনুপস্থিতিতে এই দলে নতুন ৯ মুখ। বলা যায়, নতুন করে শুরুর পালা। সেই শুরুটা কাল পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে করবেন পিটার বাটলারের শিষ্যরা। তার আগে দলের রক্ষণভাগ ভাবনা বাড়াচ্ছে।
এই দুর্ভাবনার মূল কারণ সাফজয়ী তারকা ডিফেন্ডার আঁখি খাতুনের না থাকা। দেশ ছাড়ার আগে অধিনায়ক সাবিনার কণ্ঠেও আঁখির অভাব ফুটে উঠেছিল। বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক সফল কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও বললেন, আঁখির শূন্যতা পূরণ হয়নি, ‘চায়নিজ তাইপে ও ভুটানের সঙ্গে খেলা ম্যাচ যদি বিশ্লেষণ করি, তাহলে তো স্পষ্টই বোঝা যায়, এখনো আঁখির অভাব পূরণ হয়নি। আঁখি শুধু বাংলাদেশ দলের রক্ষণভাগই সামলায় না, জয়ে এবং আক্রমণভাগেও অবদান রাখে সে। রক্ষণে এখন মাসুরার সঙ্গে যারা আছে, তারা ততটা পরিপক্ব নয়।’
সবশেষ সাফে পাঁচ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ২৩ গোল দিয়েছিল বাংলাদেশ। বিপরীতে হজম করেছিল মাত্র ১ গোল। এমন দারুণ রক্ষণের মূল সেনানী ছিলেন আঁখিই। বর্তমানে যাঁর দলের রক্ষণে থাকবেন, তাঁরা কতটা কী করবেন, তার ওপর নির্ভর করছে দলের গোল খাওয়া না-খাওয়া। সেনাবাহিনীর মহিলা ফুটবল দলের কোচ ছোটন গতকাল আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘যেহেতু আমাদের আফঈদা ও কোহাতি এই প্রতিযোগিতায় নতুন। তারা এখনো এই পর্যায়ের ফুটবলেও অংশ নেয়নি। তাদের নিয়ে তো চিন্তা থাকবেই। এখন তারা কেমন করে, সেটার ওপর নির্ভর করছে আমাদের রক্ষণভাগের ভালো খারাপ।’
আগামীকাল পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে এবারের সাফ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর ২৩ অক্টোবর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সাবিনাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। তার আগে প্রথম ম্যাচ নিয়েই যত ভাবনা বাংলাদেশের। এর মধ্যে আবার রক্ষণভাগে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন কোচ বাটলার। গতকাল কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্স মাঠে শুধু ডিফেন্ডারদের নিয়ে আলাদা একটা সেশন করিয়েছেন সাবিনাদের ব্রিটিশ কোচ। যেখানে মাসুরা, শামসুন্নাহারদের কিছু কৌশল শেখাতেও দেখা যায়। এরপর রক্ষণ নিয়ে কথা বলেন শামসুন্নাহার সিনিয়র। সাফজয়ী এই ডিফেন্ডারও বলেছেন, যতটা কম গোল হজম করা যায়, ততই ভালো, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে, যাতে তারা গোল দিতে না পারে।’