শৈশব থেকেই ফুটবল তাঁকে চুম্বকের মতো টানে। ৮ বছর বয়সে নাম লেখান পেশাদার ফুটবলে। ক্রিস্টাল প্যালেস, কারশালটন অ্যাথলেটিক ঘুরে আপাতত থিতু হয়েছেন দক্ষিণ লন্ডনের ক্লাব সাটন ইউনাইটেডে।
বর্তমানে ২২ বছরের তরুণী গ্যাব্রিয়েলা হাওয়েল তাতেও তৃপ্ত নন। প্রিয় ক্লাব টটেনহাম হটস্পারের হয়ে খেলার স্বপ্ন বুনছেন এই ইংলিশ ফুটবলার। স্পার্স নারী দলের নজরে আসার মতো পারফর্মও করে চলেছেন।
তবু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটু কথা শুনতে হচ্ছে গ্যাব্রিয়েলাকে। একজন তো তাঁকে যৌন হেনস্তা করে ছেড়েছেন। লিখেছেন, ‘মেয়েদের ফুটবলে এই এক ঝামেলা। আমার মনে হয়, কাউকে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিভার চেয়ে রূপকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।’
সেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন গ্যাব্রিয়েলা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মিরর’কে তিনি বলেছেন, ‘শুধুমাত্র ফুটবলার হওয়ার কারণে ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে তাদের শিকারে পরিণত হয়েছি। আমি যেমন ফুটবল খেলতে পারি, তেমন হাই হিলও (উঁচু স্যান্ডেল) পরতে জানি। কেউ চাইলে একসঙ্গে দুটিই সামলে পারে। যোগ্যতা ও প্রতিভার কারণে আমাকে দলে নেওয়া হয়, চেহারা দেখে নয়।’
ফুটবল পায়ে ছুটে চলার মুহূর্তের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু খোলামেলা ছবিও পোস্ট করেছেন গ্যাব্রিয়েল। এ ব্যাপারে সাটন ইউনাইটেড মিডফিল্ডার দিয়েছেন বাস্তবসম্মত ব্যাখ্যা, ‘ফুটবলের বাইরেও তো মানুষের জীবন আছে, তাই না? ছবিতে মানুষ লিখে থাকে, আমাকে খুব উষ্ণ ও আবেদনময়ী লাগছে। আমাকে দেখার পর তাদের মনে অন্য রকম বাসনা জাগছে। এ ধরনের মন্তব্য সত্যিই বিব্রতকর। ছবিতে আমার ক্লাবকে ট্যাগ করা থাকলে তা আরও বাজে দেখায়।’
গ্যাব্রিয়েলার আশা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে তিনি এমনভাবে ব্যবহার করবেন, যাতে তাঁকে দেখে আরও অনেক তরুণী ফুটবলের প্রতি আকৃষ্ট হন।
দূরপাল্লার শটে গ্যাব্রিয়েলা হাওয়েলের দুর্দান্ত গোল