গতকাল নিউক্যাসল বনাম টটেনহাম হটস্পার ম্যাচের ৪০ মিনিটের খেলা চলছে তখন। কর্নার পেয়েছিল টটেনহাম, এমন সময় সেন্ট জেমস পার্কের গ্যালারির পূর্ব প্রান্তের দর্শকদের মাঝে হইচই। বারবার দর্শকেরা হাত নাড়িয়ে বোঝাতে চাইলেন কিছু একটা সমস্যা হয়েছে তাদের মধ্যে।
দর্শকদের হাত নাড়ানোতে নিউক্যাসল-টটেনহামের খেলোয়াড়েরাও বুঝে গেলেন কিছু একটা হয়েছে। নিউক্যাসলের এক ফুটবলার ছুটে গেলেন মাঠের পূর্ব প্রান্তের গ্যালারিতে। গিয়েই বুঝতে পারলেন খেলা দেখতে দেখতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একজন দর্শক!
জরুরি অবস্থা বুঝতে পেরেই দ্রুত মাঠের বাইরে গিয়ে সেন্ট জেমস পার্কের স্টেডিয়ামের চিকিৎসা কর্মীদের ডেফিব্রিলেটর বা শকের মাধ্যমে হৃদ্যন্ত্র চালু করার যন্ত্র আনার ইশারা করেন টটেনহামের এরিক ডায়ার। সাধারণত কারও হৃদ্যন্ত্র বন্ধ হয়ে গেলেই এ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করেন চিকিৎসা কর্মীরা।
কী হচ্ছে বুঝতে না পেরে কিছু সময় অন্ধকারে ছিলেন রেফারি আন্দ্রে মেরিনার। টটেনহামের দুই ফুটবলার ডায়ার ও সার্জিও রেগুইলন তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলতেই নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট আগেই প্রথমার্ধের বিরতির ঘোষণা দেন রেফারি। এ সময়টাতে অসুস্থ দর্শকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন চিকিৎসকেরা। পরে স্ট্রেচারে করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।
ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে জিতেছে টটেনহাম। কঠিন ম্যাচ জয়ের চেয়ে অসুস্থ দর্শকের চিকিৎসা ব্যবস্থা করে দিতে পারায় বেশি আনন্দিত সার্জিও রেগুইলন। ম্যাচ শেষে বিবিসিকে এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘ আমি দেখেছিলাম মানুষটা শুয়ে আছেন আর দর্শকেরা হাত নাড়াচ্ছেন, বুঝতে পারলাম কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। রেফারিকে বলতেই তিনি খেলা থামিয়ে দিলেন। আমরা ড্রেসিং রুমে যাচ্ছিলাম ঠিকই কিন্তু আমার খারাপ লাগছিল। এমন দৃশ্য দেখতে আমার ভালো লাগে না। তিন পয়েন্ট পাওয়াটা আনন্দের কিন্তু আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল অসুস্থ মানুষটাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে পারাটা। আমি শুনেছি তিনি সুস্থ আছেন। এখন সবকিছু শতভাগ আনন্দের।’