মরণব্যাধি ক্যানসারকে গত বছর হার মানিয়েছেন সেবাস্তিয়ান হলার। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফেরা হলার এবার মাঠে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দিলেন। তাঁর জয়সূচক গোলে আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের সেমিফাইনালে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আইভরিকোস্ট।
এতে ৯ বছর পর মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালে উঠেছে আইভরিকোস্ট। সর্বশেষ ২০১৫ সালে যখন ফাইনালে ওঠে তারা, তখনো এই কঙ্গোকেই হারিয়েছিল আইভরিকোস্ট। সেবার দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। এবারও সেই স্বপ্ন দেখতেই পারে তারা।
দলের হয়ে ৬৫ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন হলার ম্যাক্স-আলাইন গ্রাদেলের ক্রস থেকে। তবে যেভাবে ভলি করতে চেয়েছিলেন হলার, তা হয়নি। ঠিকঠাকভাবে না পারলেও জয়ের জন্য যা দরকার, তা পেরেছেন তিনি। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের সামনে বাড়তি বাউন্স খেয়ে বল জালে। তাঁর এই গোলে পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে আইভরিকোস্ট।
তবে ফাইনালে ওঠার পথটা খুবই দুষ্কর ছিল আইভরিকোস্টের জন্য। গ্রুপ পর্বে টানা দুই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পথে ছিল। ইকুয়োটোরিয়াল গিনির কাছে ৪-০ গোল বিধ্বস্ত হওয়ার পর তো ফরাসি কোচ জঁ লুই গ্যাসেকে বরখাস্তও করে দলটি। পরে ফরাসি কোচের রেখে যাওয়া ডাগআউটের দায়িত্ব পান দেশটির সাবেক ফুটবলার এমার্স ফায়ে।
আগামী রোববার আবিদজানের ফাইনালে আইভরিকোস্টের প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া। এদের কাছেই গ্রুপ পর্বে ১-০ গোলে হেরেছিল তারা। এবার ফাইনালে সেই প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে তারা। গতকাল প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে নাইজেরিয়া। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর ফল নির্ধারিত হয় পেনাল্টি শুটআউটে। বুয়াকেতে ম্যচের দুই গোলই পেনাল্টিতে এসেছে।
৬৭ মিনিটে নাইজেরিয়াকে এগিয়ে দেওয়া গোলটি করেন উইলিয়াম ত্রুস্ত-ইকোং। আর ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে ৯০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলটি শোধ করেন টেবোহো মোকেনার। সে সময় দলকে পেনাল্টি ঠেকিয়ে জয় এনে দিতে না পারলেও টাইব্রেকারে দুটি শট ঠেকিয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছেন নাইজেরিয়ার গোলরক্ষক স্ট্যানলি এনওয়াবালি। এতে অষ্টমবারের মতো ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হয় ‘সুপার ইগলদের’।