ব্রাজিলকে তাদের মাঠে হারানো কঠিন কাজগুলোর একটি। ‘জিতবই’—এমন একটা ভাবনা থেকে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে নামবে ব্রাজিল। লম্বা সময় পর ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল হচ্ছে। গোটা বিশ্বে তো বটেই, বাংলাদেশেও এখন টানটান উত্তেজনা কাজ করছে।
আমি নিজে ব্রাজিলের সমর্থক। তবু একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে প্রত্যাশা থাকবে, মেসি একটা আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতুক। তার অধিনায়কত্বে যদি আর্জেন্টিনা একটা শিরোপা পায়, তাহলে মেসির ফুটবল ক্যারিয়ারটা সার্থক হবে। মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পর্তুগালের হয়ে শিরোপা জিতেছে। যদি এবারও সে শিরোপা জিততে না পারে, তাহলে এই আক্ষেপটা সারা জীবন তার থেকে যাবে।
আর ব্রাজিল নিজেদের মাঠে খেলছে বলে ওদের ওপর চাপ থাকবে, এমনও না। একজন পেশাদার ফুটবলারের কাছে ‘চাপ’ বলে কিছু নেই! মেসি-নেইমার দুজন একই ম্যাচে খেলবে বলে হয়তো তাদের দিকেই একটু বেশি চোখ থাকবে। তবে বাকিরা আড়ালে চলে যাবে, এমনটা ভাবা যাবে না। ফুটবল একটা দলীয় খেলা। শিরোপা জিততে দুই কোচ তাঁদের সেরা খেলোয়াড়ই মাঠে নামাবেন।
ব্রাজিল মানেই সব পজিশনে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে একটা দল। আর্জেন্টিনাতেও তা–ই। মার্টিনেজ যেমন সেমিফাইনালে তিনটা পেনাল্টি সেভ করেছে। ফাইনালেও চোখ থাকবে তার দিকে। এদেরসনও কিন্তু একজন অসাধারণ গোলরক্ষক। চাপ যদি কিছু থেকে থাকে, তবে সেটা শুধু শিরোপার। শিরোপা জিততে হবে, দুই দলের চাওয়া মিলে যাচ্ছে এক জায়গায়।