কাজটা তাঁর মাঝমাঠ সামলানো। তাই গোল করার চেয়ে আক্রমণের সুর গেঁথে দিতেই বেশি দেখা যায় হামজা চৌধুরীকে। সেই তিনিই কিনা ঘরের মাঠে নিজের অভিষেক ম্যাচটি রাঙালেন গোলে।
জাতীয় স্টেডিয়ামে ৫৫ মাস পর ফিরেছে ফুটবল। সেই খরা কাটানোর ম্যাচে ভুটানকে ২–০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম গোলটি এসেছে হামজার কাছ থেকে। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে দুর্দান্ত এক হেডে জাল কাঁপান তিনি।
হামজার এমন গোল অবাক করেনি বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘সেট পিস নিয়ে আমরা ম্যাচের আগে অনুশীলন করেছি। তাই হামজাকে গোল করতে দেখে অবাক হইনি। অবশ্যই হামজা প্রথমার্ধে বেশ বড় প্রভাব রেখেছে, বিশেষ করে শুরুর দিকে। এটা সত্য যে তার মতো মানের খেলোয়াড়েরা মাঠে থাকলে, দলও ভালো খেলে। তবে বাকিরাও খুব ভালো খেলেছে।’
হামজার বন্দনায় ভুটানের কোচ আতসুশি নাকামুরাও। তিনি বলেন, ‘হামজাকে আটকানো কঠিন। সে দক্ষিণ এশিয়ার খেলোয়াড়দের চেয়ে আলাদা। বিশেষ করে বাংলাদেশের বর্তমান দলটির মাঝমাঠ খুবই শক্তিশালী। আমি বলব না, এটা শুধু হামজারই কারণে, তবে স্পেশাল কারণ তো অবশ্যই দলটিতে হামজার থাকা।’