৯৪ মিনিটে ভাগ্যিস গোলটা করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নয়তো সমালোচনার সব তির পেনাল্টি মিস করা লিওনেল মেসির দিকে ধেয়ে আসতে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। দারুণ এক গোলে এমবাপ্পে তাই শুধু দলকেই জেতাননি, সমালোচকদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছেন মেসিকেও।
এর পরও অবশ্য পুরোপুরি ছাড় পাচ্ছেন না মেসি। পরশু রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের মহারণের পর ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে’কিপ মেসিকে দিয়েছে মাত্র ৩ নম্বর।
রিয়ালের বিপক্ষে কৌশল বদলে দলকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলান পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। নতুন কৌশলে মেসিকেও অনেক বেশি জায়গা নিয়ে খেলতে দেখা যায়। শুরু থেকে এমবাপ্পে, দি মারিয়ারাও রিয়ালের ওপর বেশ চাপ তৈরি করেন। তবে রিয়ালের অতিরক্ষণাত্মক কৌশলের কারণে ডি-বক্সের কাছাকাছি গিয়েও ব্যর্থ হয়েছে পিএসজি। গোল করতে না পারার ব্যর্থতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মেসির পেনাল্টি মিস করার ঘটনাও, যা ম্যাচ জেতার পরও মেসিকে দিয়েছে সর্বনিম্ন রেটিং।
পিএসজির হয়ে একাদশে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে কম নম্বর পেয়েছেন মেসি। আর সবচেয়ে বেশি ৮ নম্বর করে পেয়েছেন মার্কো ভেরাত্তি ও গোলদাতা কিলিয়ান এমবাপ্পে। কৌশল বদলে পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনোও পেয়েছেন ৮ নম্বর। অন্যদিকে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি পেয়েছেন ৪।
তবে দুই দলের সব খেলোয়াড় মিলিয়ে মেসির চেয়ে কম নম্বর পেয়েছেন একজন। রিয়ালের অসহায় ফুলব্যাক দানি কারভাহাল পেয়েছেন মাত্র ২ নম্বর। আর মেসির সমান ৩ নম্বর করে পেয়েছেন মার্কো আসেনসিও।
রিয়াল ম্যাচের পারফরম্যান্সের কারণে মেসি শুধু নাম্বারই কম পাননি, হয়েছেন সমালোচিতও। তারা লিখেছে, ‘মেসিকে এভাবে খেলতে দেখা দুঃখজনক।’
ব্যক্তিগত দ্বৈরথেও মেসিকে ভুগতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মেসির খেলা ভালো হয়েছে বলেও দাবি করে লে’কিপ।