বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে থাকতেই নিজের সামর্থ্যের জানান দেন আর্লিং হালান্ড। তাতেই পেপ গার্দিওলার জহুরির চোখ পড়ে এই স্ট্রাইকারের উপর। ২০২২ সালে গ্রীষ্মে জার্মান ক্লাবটি থেকে হালান্ডকে ছুটিয়ে আনেন এই স্প্যানিশ কোচ। সিটিজেন শিবিরে যোগ দিয়ে শুরু থেকেই গুরুর আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন নরওয়েজিয়ান তারকা।
একের পর এক গোল করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গোলমেশিনের তকমা পেয়ে যান হালান্ড। সাড়ে ৩ বছরের মাথায় ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে গোল সেঞ্চুরি করলেন আক্রমণভাগের এই ফুটবলার; সেটাও আবার রেকর্ড গড়ে।
প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে ফুলহামকে ৫-৪ গোলে হারিয়েছে ম্যানসিটি। ক্র্যাভেন কটেজে ১৭ তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে জেরেমি ডোকুর পাস পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় জোরালো শটে জাল কাঁপান হালান্ড। এটা প্রিমিয়ার লিগে তাঁর ১০০ তম গোল। ১১১ তম ম্যাচে এসে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। এই লিগে এত কম ম্যাচ খেলে গোল সেঞ্চুরি করতে পারেনি আর কোনো ফুটবলার।
আগের রেকর্ডটি ছিল অ্যালান শিয়ারারের দখলে। ১০০ গোল করতে নিউক্যাসল কিংবদন্তি লেগেছিল ১২৪ ম্যাচ। ১৯৯৫ সালে এই রেকর্ডটি গড়েছিলেন সাবেক ফুটবলার। ৩০ বছর পর তাঁর রেকর্ড ভাঙলেন হালান্ড। ১৩ ম্যাচ কম লাগল তাঁর। রেকর্ড গড়ার দিনে লিগে ২ ম্যাচের গোলখরা কাটালেন হাল্যান্ড। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলের (১৪ গোল) মালিক তিনি। ১১ গোল নিয়ে দুইয়ে আছেন ব্রেন্টফোর্ডের ইগর তিয়াগো।
এদিন ৫৬ মিনিট পর্যন্ত ৫-১ গোলে এগিয়ে ছিল ম্যানসিটি। এরপর সফরকারীদের ভয় পাইয়ে দেয় ফুলহাম। বাকি সময়ে তিনবার ম্যানসিটির জালে বল পাঠায় স্বাগতিকরা। তাই শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত স্বস্তিতে ছিল না জায়ান্টরা।