দেশের ফুটবলে ‘লাতিন-বাংলা সুপার কাপ’ খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও টুর্নামেন্টটি নিয়ে ভালোই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল দেশের ফুটবল দর্শকদের। সে কারণেই টুর্নামেন্টের নানা বিষয় নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি হয়ে খেলা দুটি দলের নানা ঘটনার মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশি ডিফেন্ডার ইহসান হাবিব রিদওয়ানের লাল কার্ড দেখা।
জাতীয় স্টেডিয়ামে পরশু আর্জেন্টিনার ক্লাব আতলেতিকো চার্লনের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। শরীর নির্ভর ফুটবল খেলতে অভ্যস্ত আতলেতিকো চার্লনের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বাংলাদেশের ফুটবলারদের। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে বাংলাদেশি ডিফেন্ডার ইহাসান হাবিব রিদওয়ান আর্জেন্টিনার এক ফুটবলারকে লাথি-ঘুষি মেরে বসেন। তখনই দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামলাতে রেফারিকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
ম্যাচের পর থেকেই রিদওয়ানকে শুনতে হচ্ছে দুয়ো, সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে কঠোর সমালোচনা করছেন দর্শকেরা। তীব্র সমালোচনায় বেশ ভেঙে পড়েছেন রিদওয়ান। এক ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে লাতিন বাংলা কাপে খেলা একজন ফুটবলার। গতকাল ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এই ম্যাচে আমি যে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করেছি এতে বাংলাদেশের দর্শক ও সমর্থকদের হতাশ করেছি। আসলে খেলার মাঠে অনেক সূক্ষ্ম সাংঘর্ষিক ঘটনা ঘটে। আমার সঙ্গেও এমন হয়েছিল। আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। যে আচরণ করেছি, সেটা খেলার স্পিরিটের সঙ্গে যায় না।’
লাথি-ঘুষির কাণ্ডে আর্জেন্টিনা দলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রিদওয়ান। একই সঙ্গে আর্জেন্টিনা দলকেও একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ এই ডিফেন্ডার, ‘এটা আমার ভুল ও ভুলের পুরো দায় নিচ্ছি। প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা দলের কাছে আমার একটাই বার্তা, সহিংস আচরণ ফুটবলে কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন বাংলাদেশি ফুটবলার হিসেবে যে পরিণত আচরণ দেখানো উচিত ছিল, আমি সেটা দেখাতে পারিনি। আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড় ও কোচদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। তারা এটাকে খেলার অংশ হিসেবে নিয়েছে।’
লাতিন বাংলা সুপার কাপে ব্রাজিলের ক্লাব সাও বের্নার্দোর বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরেছিল রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। আর্জেন্টিনার ক্লাব আতলেতিকো চার্লনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। ক্যাসপার হক, বীতশোক চাকমা, ইব্রাহিম নাওয়াজ, ইশান মালিক—লাতিন বাংলা সুপার কাপে বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন এই চার প্রবাসী ফুটবলার।