কেনসিংটন ওভালের ফাইনাল শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার যে কজন ক্রিকেটার ভেঙে পড়েছিলেন, তাঁদের একজন ডেভিড মিলার। কান্নারত মিলারকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিচ্ছেন তাঁর স্ত্রী—এমন একটা দৃশ্য ফাইনাল শেষে অনেকেরই নজর কেড়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শনিবারের সে ফাইনালের হারটা এখনো হজম করতে পারছেন না মিলার!
৩০ বলে ৩০ রানের সহজ সমীকরণও মেলাতে পারেননি হেনরিখ ক্লাসেন-ডেভিড মিলাররা। ক্লাসেন, ইয়ানসেনদের বিদায়ের পর শেষ ভরসা হিসেবে উইকেটে ছিলেন মিলার। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ১৬ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলেই হার্দিক পান্ডিয়াকে সজোরে মেরেছিলেন। সেটি ছক্কাও হতে পারত। কিন্তু লং অফের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া বলকে লাফিয়ে আটকান সূর্যকুমার যাদব, শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পেরে ফিল্ডার সীমানার বাইরে চলে গেলেও পরে সীমানার ভেতরে এসে দুর্দান্ত এক ক্যাচ বানান মিলারকে। তখন কার্যত শেষ প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন।
ফাইনালের সেই দুস্মৃতি এখনো তাড়া করে ফিরছে মিলারকে। এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে গতকাল ব্যাটার লিখেছেন, ‘আমি বিধ্বস্ত!! দুই দিন আগে যা হয়েছে, হজম করা কঠিন। আমার খারাপ লাগাটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’ তবে সেই পোস্টেই হতাশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ের কথা বলেছেন মিলার, ‘তবে দলকে নিয়ে আমি কতটা গর্বিত, এই একটা ব্যাপার জানি আমি। মাসজুড়ে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে পথচলাটা অবিশ্বাস্য ছিল। শেষে যন্ত্রণা সইতে হয়েছে আমাদের। এই দলের সহ্যক্ষমতা জানি আমি। মানদণ্ডটা আমরা উঁচুতে ঠিকই তুলে নেব।’