২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দেখা যাচ্ছে না। ব্যাটিং কিংবা বোলিং কোথাও ধারাবাহিক হতে পারছেন না তিনি। তবে ছন্দে না থাকা সাকিব যে কবে জ্বলে উঠবেন, তা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন। তামিম ইকবালের মতে বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারের সেরাটা আসবে ভারতের বিপক্ষেই।
বাংলাদেশ এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত খেলেছে ৫ ম্যাচ। সাকিব খেলেছেন সব ম্যাচেই এবং করেছেন ১০০ রান। গড় ২৫ ও স্ট্রাইকরেট ১০৪.১৬। টুর্নামেন্টে একমাত্র ফিফটি তিনি করেছেন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। আউট হওয়ার ধরনও দৃষ্টিকটু। এদিকে সুপার এইটে বৃষ্টি আইনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২৮ রানে হেরে বেকায়দায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। অ্যান্টিগায় আজ রাতে সুপার এইটে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত। সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি ‘বাঁচা-মরার ম্যাচ’। ক্রিকইনফোর এক অনুষ্ঠানে তামিম বলেন, ‘সে (সাকিব) বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। বড় ম্যাচেই বড় ক্রিকেটারদের পারফর্ম করতে হবে। এমনটা সে আগে অনেকবার করেছে এবং ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।’
বোলিংটা ভালো হলেও টুর্নামেন্টজুড়ে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিভাগকে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তসহ লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম—টপ অর্ডারের ব্যাটাররা ধারাবাহিকভাবে রান করতে পারছেন না। সাকিবকে তাই ব্যাটিংয়ে ওপরের দিকে নিয়ে আসা হলে বাংলাদেশের উপকার হবে বলে মনে করেন তামিম। তামিম বলছেন, ‘তার (সাকিব) সময়ের দরকার হলে ওপরে ব্যাটিং করতে হবে। ফলে সে আরও বেশি সময় পাবে ব্যাটিং করতে। বাংলাদেশের ব্যাটিং ধুঁকছে। তাহলে সাকিবকে কেন ৩ বা ৪ নম্বরে খেলানো হবে না? তাতে সে অনেক ওভার পেলে থিতু হতে পারবে। বিশ্বের সেরা বোলারদের ওপর চড়াও হতে পারবে।’
এবারের বিশ্বকাপে সাকিব ৭.১৬ ইকোনমিতে নেন ২ উইকেট। একমাত্র নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেই তিনি ৪ ওভারের বোলিং কোটা পূর্ণ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গতকাল একটা ওভারও বোলিং করেননি। তামিম বলেন, ‘হ্যাঁ পেসাররা ভালো করছে। তবে সাকিব আল হাসান হচ্ছে দলের সেরা ক্রিকেটার। ৪ ওভার বোলিং করা উচিত বলে আমি মনে করি। ভারতের প্লেয়ারের জন্য সাকিব দারুণ ম্যাচআপ। রোহিত-কোহলিদের বিপক্ষে দারুণ কার্যকরী হতে পারে। যে সূর্যকুমার যাদব নিয়মিত রান করছে, আমার যত দূর মনে পড়ে তাকে (সূর্যকুমার) বোলিংয়ের সময় দুবারই আউট করেছে সাকিব।’