২০২৩ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হতে বাকি কয়েক ঘণ্টা। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটানস-চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ১৬তম আইপিএল। এবারের আইপিএলে চালু হচ্ছে বেশ কিছু নতুন নিয়ম।
টসের পর একাদশ: টসের সময় সাধারণত একাদশ জানিয়ে দেন দুই দলের অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট—সব জায়গায় এমন নিয়মেই হয়ে আসছে। তবে এবারের আইপিএলে নিয়মটা বদলেছে। টসের সময় দুটি আলাদা আলাদা একাদশের তালিকা নিয়ে নামতে পারবেন অধিনায়কেরা। টসের পর অধিনায়ক নিজের পছন্দমতো একাদশ নিয়ে খেলতে পারবেন।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম: এটা অনেকটা ফুটবলের সাবস্টিটিউটের মতো। এই নিয়ম অনুযায়ী একজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে পারবে দলগুলো। কোনো ইনিংস, ওভার শেষ হলে, উইকেট পাওয়ার পর, ওভারের মাঝখানে খেলোয়াড় বদল করা যাবে। তবে ভারতীয় ও বিদেশি খেলোয়াড়ের মধ্যে অদল-বদল করা যাবে না। বিদেশি খেলোয়াড়ের বদলি হিসেবে একজন বিদেশি খেলোয়াড়ই নিতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনো দলকে চারের কম বিদেশি খেলোয়াড় নিয়ে খেলতে হবে।
ওয়াইড-নো বলে রিভিউ: সাধারণত আউটের ক্ষেত্রে খেলোয়াড়েরা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) ব্যবহার করেন। ওয়াইড, নো বলের ক্ষেত্রেও এবারের আইপিএলে দলগুলো ডিআরএস ব্যবহার করতে পারবে। সদ্য সমাপ্ত নারী প্রিমিয়ার লিগের প্রথম মৌসুমে এই নিয়ম চালু হয়েছে।
এ ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারলে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে পাঁচজনের জায়গায় চারজন ফিল্ডার রাখতে হবে অধিনায়ককে। আর ফিল্ডিং করার সময় নিয়মবহির্ভূত নড়াচড়া করলে তারও শাস্তি পাবে ফিল্ডিং করা দল। বল করার সময় উইকেটরক্ষক অকারণে নড়াচড়া করলে ব্যাটিং করা দল পেনাল্টি হিসেবে ৫ রান পাবে। সেই বলটিও ডেড বল হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ, কোনো বল না খেলেই ৫ রান যোগ হবে ব্যাটিং দলের স্কোরবোর্ডে। কোনো ফিল্ডার সেই কাজ করলেও একই শাস্তি পেতে হবে। মানকাডিং আউটও করা যাবে এবারের আইপিএলে, যা গত বছরের অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চালু করেছে আইসিসি।