দ্বিতীয় দিন শেষেই সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন অমিত হাসান। আজ কোনো ভুল করেননি এই ব্যাটার। রাজশাহীর বিপক্ষে দিনের শুরুতেই ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন অমিত। জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) মৌসুমের প্রথম দ্বিতশকে ভর দিয়ে রাজশাহীর বিপক্ষে রান পাহাড়ে চড়েছে সিলেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহীর বিপক্ষে ১৫৩ রানে এগিয়ে আছে সিলেট। সফরকারীদের করা ২৩৬ রানের জবাবে ৫৩৫ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে জাকির হাসানের দল। ১৭২ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামা অমিত ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ২২১ বলে। সাজঘরে ফেরার আগে ২১৩ রান করেন তিনি।
ডাবল সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও কম যাননি আসাদুল্লা আল গালিব। ওয়াসি সিদ্দিকীর বলে আউট হওয়ার আগে ১৮০ রান করেন তিনি। ২৯৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা রাজশাহীর তৃতীয় দিন শেষে হয়েছে ৩ উইকেট হারিয়ে। ১৪৬ রান করেছে তারা। ইনিংস হারের শঙ্কায় আছে পদ্মাপাড়ের দলটি।
সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় ইনিংসেও ময়মনসিংহের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন রুয়েল মিয়া। এরপরও হারের শঙ্কায় আছে বরিশাল। ৩৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা। শেষদিনে ৬ উইকেট হাতে রেখে আরও ২৭২ রান করতে হবে বরিশালকে। ২৪২ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ময়মনসিংহ। ৬৪ রানে ৫ উইকেট নেন রুয়েল।
খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে স্বাগতিকেদের সঙ্গে ঢাকার ম্যাচের ফল আসবে শেষদিনে। ৫ উইকেট হাতে রেখে ৩৩ রানের লিড পেয়েছে রূপসা পাড়ের দলটি। শেষদিনের বড় একটা অংশ উইকেটে কাটিয়ে দিতে না পারলে হারতে হবে তাদের। ইমরানুজ্জামান ২৭ ও সৌম্য সরকার ৩১ রান নিয়ে কাল ব্যাট করতে নামবেন।
ষষ্ঠ রাউন্ডে সবার আগে চট্টগ্রাম ও রংপুরের ম্যাচে ফল হয়েছে। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুরকে ইনিংস এবং ৪৩ রানে হারিয়েছে বন্দর নগরীর দলটি। দ্বিতীয় দিন শেষেই জয়ের ভীত গড়ে রেখেছিল তারা। প্রথম ইনিংসে ৩৫০ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। ইনিংস হার এড়াতে আরও ২২৪ রান করতে হতো তাদের। এমন সমীকরণে ১৮১ রানে অলআউট হয়েছে আকবর আলীর দল।