উইকেট ভালো দেখেই টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টেম্বা বাভুমা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ভাবেননি, শুরুতেই এমন বিপর্যয়ে পড়বেন। পরশু গায়ানায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু করে প্রথম ইনিংসে ১৬০ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। প্রোটিয়াদের কম রানে থামালেও নিজেদের প্রথম ইনিংসের স্কোরটা বড় করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৭ উইকেটে ৯৭ রান নিয়ে গতকাল দ্বিতীয় দিন শুরু করে ক্যারিবীয়রা থামে ১৪৪ রানে। জেসন হোল্ডারের অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস ছাড়া উল্লেখ করার মতন আর ইনিংস সেই স্বাগতিকদের ইনিংসে। ৩৩ রান নিয়ে দিন শুরু করেন তিনি। শেষ উইকেট শামার জোসেফ ২৫ রান না করলে স্কোরটা আরও ছোট হতো উইন্ডিজের।
তার আগে শামারের তোপে এলোমেলো হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ৩৩ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। জেইডেন সিলসের শিকার ৩ টি। প্রথম দিনে যে ১৭ উইকেট পড়েছে তার ১৫টি পেয়েছেন পেসাররা। তার মধ্যে শামার, সিলস ও হোল্ডার মিলে নেন ৯ উইকেট।
শেষ উইকেটে ডেন পিয়েট (৩৮ *) ও নন্দ্রে বার্গার (২৩) ৬৩ রানের জুটি না গড়লে প্রোটিয়াদের ইনিংসটাও আরও ছোট হতো। উইন্ডিজকেও যা একটু রক্ষা করেছে হোল্ডার-শামারের শেষ উইকেটে জুটির ৪০ রান। প্রথমদিনে উইয়ান মুলদারের তোপের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আরেক পেসার বার্গার নেন ৩ উইকেট।
গতকাল অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে ‘ধীরে চলো নীতি’তে ব্যাটিং শুরু করেন প্রোটিয়ারা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান করে মধ্যাহ্নভোজে যায় তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার লিড দাঁড়িয়েছে ৪৬ রান। ত্রিনিদাদে বৃষ্টি বাধায় সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়।