শুধু ব্যাটিংয়েই আক্রমণাত্মক নন গ্লেন ফিলিপস। ফিল্ডার হিসেবেও তিনি দুর্দান্ত। আজ হ্যামিল্টন টেস্টে যা করেছেন তা অবিশ্বাস্য। পয়েন্টে বাজপাখির মতো ক্ষিপ্রতায় কেগান পিটারসেনের ক্যাচ এক হাতে লুফে নিয়েছেন ফিলিপস।
ফিলিপসের দুর্দান্ত ক্যাচ নেওয়ার পরেই টেস্টের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডার যখন ক্যাচটি নেন, তখন দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৫ উইকেটে ২০২। সেখান থেকে ব্যাটিং ধসে ২৩৫ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। অর্থাৎ, শেষ ৬ উইকেট মাত্র ৩৩ রানে হারিয়েছে সফরকারীরা।
অথচ, চতুর্থ উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েছিলেন ডেভিড বেডিংহাম ও পিটারসেন। তাঁদের জুটিটা সেঞ্চুরির পথে ছিল। কিন্তু ৫৯ দশমিক ২ ওভারের সময় ম্যাট হেনরির বলে পিটারসেনের (৪৩ রান) দুর্দান্ত ক্যাচ নেন ফিলিপস। এতে করে ৯৮ রানে ভেঙে যায় দুজনের জুটি। রয়ে যায় ২ রানের ‘দুঃখ’।
অভিষিক্ত পেসার ও’রুর্কে ৫ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার অর্ডার ধসিয়ে দেওয়ার আগে অবশ্য ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের আশা দেখাচ্ছিলেন বেডিংহাম। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ৮৭ রানে আউট হওয়া ব্যাটার আজ করেছেন ১১০ রান। ১৪১ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১২ চার ও ২ ছক্কায়। অন্যদিকে অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়া রুর্কে প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে ১ উইকেটে ৪০ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। ব্যক্তিগত ১৭ রানে ডেভন কনওয়ে আউট হওয়ার পরেই তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে দেন মাঠের দুই আম্পায়ার। ২১ রানে অপরাজিত আছেন টম লাথাম। বাকি ২২৭ রান করতে দুই দিন সময় পাচ্ছে কিউইরা।