ভারত কেন জিতবে—এই প্রশ্নে কেউ কেউ পাল্টা প্রশ্নও করতে পারেন, কেন জিতবে না ভারত? এই টুর্নামেন্টের একমাত্র অজেয় দল তারা। শুরু থেকে দুর্দান্ত ফর্ম দেখিয়ে একের পর এক ম্যাচ জিতে চলেছে সূর্যকুমার যাদবদের ভারত। দলটির কী ব্যাটিং গভীরতা! ব্যাটিং অর্ডারের ৮ নম্বর ক্রিকেটারও দুর্দান্ত ব্যাট করতে পারেন। পজিশনটি এখন অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেলের দখলে, যিনি ব্যাট হাতে মাচের গতিপ্রকৃতি বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। অভিষেক শর্মা ও শুবমান গিলের ভয়ংকর ওপেনিং জুটি, দুর্দান্ত টপ অর্ডার। মিডল অর্ডারও অসাধারণ। আছেন হার্দিক পান্ডিয়া ও অক্ষর প্যাটেলের মতো ম্যাচ জেতানো অলরাউন্ডারও।
ভারতের ব্যাটিং শক্তির গভীরতার কথা বলে পরিসংখ্যানও। চলতি এশিয়া কাপে ফাইনালের আগপর্যন্ত সর্বোচ্চ রান করেছেন অভিষেক শর্মা। ৬ ম্যাচে ৩০৯। গড় পঞ্চাশের বেশি, ৫১.৫০। তা ছাড়া চলতি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ পাঁচটি দলীয় স্কোরের তিনটিই করেছে ভারত।
লড়াইয়ের পুঁজি পেলে ভারতকে জিতিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে জসপ্রীত বুমরাদের। বুমরার একেকটি ইয়র্কার যেন ব্যাটারদের জন্য একেকটি মৃত্যুবাণ। পাকিস্তানের নড়বড়ে ব্যাটিংয়ের জন্য যম হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন ভারতীয় এই পেসার। তবে শুধু বুমরা নন, কুলদীপ যাদব কিংবা অক্ষর প্যাটেলের স্পিনও প্রতিপক্ষের যেকোনো ব্যাটারকে বিপাকে ফেলতে পারে। বিশ্বমানের ক্রিকেটারদের সমারোহ ভারতীয় দলে, পারফরম্যান্সও ধারাবাহিক। এমনিতে কি তারা এই সংস্করণের এক নম্বর দল!
তারপরও ফাইনালের আগে পা মাটিতেই রাখছে ভারত। পরশু সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন দলটির পেস বোলিং কোচ মরনে মরকেল। ‘এটা করব, ওটা করব’ হম্বিতম্বি না করে বলছেন, সব সময় শেখার ও উন্নতি করার চেষ্টা থাকে দলের। সেই শেখা আর উন্নতির উৎকর্ষ নিয়ে ফাইনালে নামবে ভারত।
এই ফাইনালের আকর্ষণীয় দিক হলো, ফর্মে থাকা অভিষেকের সঙ্গে বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদির লড়াই। মরনে মরকেলের ভাষায়, ‘শাহিন অবশ্যই আক্রমণাত্মক পেসার, সে সব সময় আপনাকে আউট করতে চাইবে। আর অভিষেকও পিছু হটার লোক নয়, ও আক্রমণ করেই যাবে। দুজনের লড়াই দেখা দারুণ একটা ব্যাপার।’
আরও খবর পড়ুন: