হোম > খেলা > ক্রিকেট

বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে রইলেন গুরবাজ

ক্রীড়া ডেস্ক    

বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে রইলেন গুরবাজ। ছবি: এসিবি

শারজায় অলিখিত ফাইনালে বাংলাদেশের দেওয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ লড়ছে আফগানিস্তানও। এ প্রতিবেদন পর্যন্ত ২৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১১০ রান করেছে তারা। বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে রইলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৭২ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত আছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তাঁর সঙ্গে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ব্যাটিং করছেন ১১ রানে।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪১ রান তোলে আফগানরা। সপ্তম ওভারে সেদিকউল্লাহ আতালকে (১৪) বোল্ড করে বাংলাদেশকে দারুণ ব্রেক-থ্রু এনে দেন অভিষিক্ত নাহিদ রানা। তারপর দলীয় ৬৩ রানে রহমত শাহ (৮) ও ৮৪ রানে হাসমতউল্লাহ শাহিদিকে (৬) ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরু, তারপর ধস, পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের লড়াই—যার সৌজন্যে শারজায় সিরিজ নির্ধারণ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ২৪৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ।

দলকে দারুণ অবস্থায় পৌঁছে দিয়েও কিছুটা আক্ষেপ যেন থেকেই গেল মাহমুদউল্লাহর। ২ রানের জন্য পাননি পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তবু ৩৮ বছর বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ লড়াই করলেন সেই তরুণের মতোই খেলে গেলেন শেষ বল পর্যন্ত। চতুর্থ ওয়ানডে ফিফটি করেছেন মিরাজ। এক বছরের বেশি সময় পর আবারও সেই আফগানদের বিপক্ষে পেলেন ফিফটি। গত বছর বিশ্বকাপে সবশেষে ওয়ানডে ফিফটি করেছিলেন করেছিলেন মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ। ৮ উইকেটে বাংলাদেশ স্কোরে জমা করল ৩৪৪ রান।

আগের দুই ম্যাচে একটি করে জয় পেয়েছে দুই দলই। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান তৃতীয় ওয়ানডে তাই ‘অলিখিত ফাইনাল’। ফাইনালের আগেই সকালে দুঃসংবাদ পায় বাংলাদেশ। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ছিটকে গেছেন কুঁচকির চোটে। এ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিরাজ। নিজের শততম ওয়ানডে ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো টস করতে নেমেই জিতলেন এই অলরাউন্ডার।

আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মিরাজ। ওপেনিং জুটিতে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশও। ওপেনিং জুটিতে সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম যোগ করেন ৮.৩ ওভারে ৫৩ রান। নবম ওভারের তৃতীয় বলে সৌম্যকে বোল্ড করে দলকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ২৩ বলে ৪ চারে ২৪ রান করেন সৌম্য। মোহাম্মদ নবির করা দশম ওভারের প্রথম বলে কাভার-পয়েন্টে শাহিদীকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার তামিমও। ২৯ বলে ১৯ রান আগে তাঁর ব্যাট থেকে।

১১ তম ওভারে রানআউট হয়ে ফেরেন শান্তর জায়গায় সুযোগ পাওয়া জাকির হাসান। ওয়ানডেতে এক বছর পর সুযোগ পাওয়া জাকির করেছেন ৭ বলে ৪ রান। ৭২ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন তাওহীদ হৃদয়। ৭ রানে রশিদ খানের শিকার হন তিনি।

আফগানদের স্পিন আক্রমণে মোটামুটি কঠিন বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। রশিদ-গাজানফারদের জাদুতে ব্যাট তোলাই যেন দায়! তবে অভিজ্ঞতা ও মানসিক দৃঢ়তার পরীক্ষা দিয়ে পঞ্চম উইকেটে মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ গড়েছেন ১৮৮ বলে ১৪৫ রানের দুর্দান্ত এক জুটি।

৪৬ তম ওভারে ওমরজাইয়ের শিকার হন মিরাজ। নেতৃত্বের প্রথম ম্যাচেই বিপর্যয়ে হাল ধরতে হলো তাঁকে। ১০৬ বলে করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। ১১৯ বলে ৬৬ রানে ফেরেন শেষ পর্যন্ত। ইনিংসে ছিল ৪টি চার। ১ রানে ফেরেন জাকের। তবে একপ্রান্ত আগলে শেষ পর্যন্ত লড়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ।

৯৮ বলে ৩ ছক্কা ও ৭টি চারে মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ৯৮ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ইনিংসের শেষ বলে সেঞ্চুরি করতে প্রয়োজন ছিল ৩ রান। কিন্তু দ্বিতীয় রান নেওয়া সময় রানআউট হয়ে যান তিনি। আফগান বোলারদের মধ্যে ওমরজাই ৩ টি, নবি ও রশিদ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

সবার আগে বিশ্বকাপের দল দিল পাকিস্তান

ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকাহত বিসিবি-বাফুফে

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সেমিফাইনাল দেখবেন কোথায়

বিশ্বকাপে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রতিপক্ষ কারা, জানাল বিসিবি

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আম্পায়ারদের কাছে ব্যাখ্যা চাইছেন স্টেইন

আম্পায়ারিং নিয়ে অসন্তুষ্ট ইংল্যান্ড, আইসিসির কাছে করবে নালিশ

হঠাৎ কেন চেয়ার ছুড়ে মারতে গিয়েছিলেন ম্যাকগ্রা