নর্দাম্পটন যেন ফিরে এল হ্যামিল্টনে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে নর্দাম্পটনে এই পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশের ছেলেরা। ২৩ বছর হ্যামিল্টনে আরেকটি ইতিহাস রচনা করলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। বিশ্বমঞ্চে প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে নিগার সুলতানার দল।
ইতিহাস গড়া জয়ের পর যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন অধিনায়ক নিগার। বাংলাদেশ অধিনায়ক এই ছন্দ টেনে নিতে চান পরের ম্যাচগুলোতেও, ‘ভাষায় বর্ণনা করতে পারছি না। এটা আমাদের বিশ্বকাপে প্রথম জয়। আজ আমরা ইতিহাস গড়েছি। পুরো টুর্নামেন্টে এই ছন্দটা ধরে রাখতে আমরা উন্মুখ হয়ে আছি। আমি এখানে দুটা ম্যাচ দেখেছি যেখানে স্পিনাররা আধিপত্য দেখিয়েছে। তাই আমি ভেবেছিলাম সে(সালমা খাতুন) যেন তার সেরাটা দিতে পারে। আমি তাকে খুব ভালো ব্যবহার করেছি।’
পাকিস্তানকে বাছাইপর্বেও হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর মূলপর্বে শুরুটা ভালো করতে পারেনি সালমা-জাহানারারা। প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও হেরেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রমাণ করতে আর দেরি করলেন না তারা। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের বৃত্ত ভেঙে তুলে নিলেন ঐতিহাসিক জয়।
একটা জয় পুরো দলের চেহারা বদলে দিতে পারে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই জয়কে সেরকমই ভাবছেন নিগার। জয়ের পর তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি পাকিস্তান ভালো দল। আমরা পাকিস্তানকে এর আগেও প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছি। এই বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও শেষ ওভারে তাদের বিপক্ষে আমরা জিতেছিলাম। জয় সব সময় আত্মবিশ্বাস জোগায়। আর এই ছন্দটাই আমরা সব সময় চেয়ে আসছিলাম। আমরা যে ভালো দল সেট এরই মধ্যে প্রমাণ করেছি। আমরা জানি ভালো কিছু করার সক্ষমতা আমাদের আছে।’