প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তান কোচ জোনাথন ট্রট একটু মজা করেই বললেন, ১০ রানে শেষ ৫ উইকেট নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। ট্রটের কাছে প্রশ্নটা ছিল দ্বিতীয় দিন তার দলের জন্য কোনটা সবচেয়ে ভালো হয়। ট্রট মজা করে বললেও আফগানিস্তান বোলাররা ব্যাপারটা মনে হচ্ছে সত্যিই মাথায় নিয়েছিলেন।
আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ২০ রান যোগ করতে যে বাংলাদেশের শেষ ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন আফগানিস্তান বোলাররা। ৫ উইকেটে ৩৬২ রান নিয়ে খেলা শুরু করা বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৩৮২ রানে। নতুন বল হাতে পেতেই জ্বলে ওঠেন আফগান বোলাররা।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের শুরুটা মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে। ফিফটি থেকে দুই রান দূরে থাকতে ইয়ামিন আহমেদজাইয়ের বলে আমির হামজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজ। চার বল পর তাঁর পথ অনুসরণ করেন মুশফিকুর রহিম। এখন পর্যন্ত এই ম্যাচে আফগানদের সেরা বোলার নিজাত মাসুদের শর্ট লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলটা ঠিকঠাক খেলতে ব্যর্থ হন মুশফিক। তাঁর ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল যায় উইকেটকিপারের গ্লাভসে। ৪৭ রান করেছেন মুশফিক।
এরপর তাইজুল ইসলাম ও শরীফুল ইসলামকেও ফেরান নিজাত। অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব অর্জন করেন এই পেসার। মাঝে তাসকিন আহমেদকে ফেরান ইয়ামিন। আগের দিন ‘অর্ডিনারি’ মনে হওয়া আফগানিস্তান বোলিং লাইনআপ যে এভাবে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেবে, কে ভেবেছিল!