দ্বিপক্ষীয় সিরিজে বাবর আজমের ব্যাটে ছোটে রানের ফোয়ারা। তবে বড় মঞ্চ এলেই রানখরায় ভুগতে থাকেন বাবর। পাকিস্তান অধিনায়ককে খোঁচা মেরেছেন মোহাম্মদ আসিফ। সেই খোঁচার জবাবও দিয়েছেন বাবরের বাবা।
২০১৯ সালে অধিনায়ক হওয়ার পর পাকিস্তান দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও দুটি এশিয়া কাপ খেলেছে। কোনোবারই শিরোপা জিততে পারেনি তারা। যার মধ্যে ২০২২ সালে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ—দুটোতেই পাকিস্তান হয়েছে রানার্সআপ। বাবরের ব্যাটও হাসেনি টুর্নামেন্টে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়া এশিয়া কাপে ৬ ম্যাচে ১০০ রানও করতে পারেননি। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১ ফিফটি করলেও গড় ছিল ১৭.৭১। দুটো টুর্নামেন্টেই ১০০ স্ট্রাইক রেটের নিচে ব্যাটিং করেছেন তিনি।
এ ছাড়া বাবরের নেতৃত্বে ২০২৩ এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে পারেনি পাকিস্তান। ২০২৩ এশিয়া কাপে ৫১.৭৫ গড়ে ২০৭ রান করেছেন বাবর। যার মধ্যে ১৫১ রানই এসেছে নেপালের বিপক্ষে। তার আগে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান করলেও স্ট্রাইকরেটের সমালোচনা সইতে হয়েছে। অফফর্মে থাকা বাবরকে মেডেন দিতে পারতেন বলে আসিফ গত পরশু টুইট করেছেন। আসিফের খোঁচার জবাব দিতেও দেরি করেননি বাবরের বাবা আজম সিদ্দিকী। একই সঙ্গে আসিফকে ২০১০ সালের ঘটনাও যেন মনে করিয়ে দিয়েছেন। যেখানে লর্ডসে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায় আসিফের। বাবরের বাবা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘ডিয়ার মোহাম্মদ আসিফ, প্রত্যেক মানুষকে তার কর্মের ফল পেতে হবে। তেমন পরিস্থিতি এলে আপনার সম্মানের জন্য বাবর এক ওভার মেডেন খেলতেও রাজি।’
বাবরের বাবা তাঁর ছেলের সঙ্গে আসিফের পুরোনো এক ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন। বাবরের যখন ১৬ বছর বয়স, তখন এক ক্লাব ম্যাচে তাঁর মুখোমুখি হয়েছিলেন আসিফ। ৮৪ রান করার পর বাবর আউট হয়েছেন আসিফের বলে। আউট হওয়ার পর বাবর তখন হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। কারণ তাঁকে (বাবর) উদ্দেশ করে বাজে ভাষায় আসিফ মন্তব্য করেন বলে দাবি সিদ্দিকীর। এই ক্রিকেট ম্যাচের পর বাবর জেডটিবিএল ট্রায়ালে যান। এই ট্রায়াল থেকেই বাবরকে নেওয়ার দাবি করেন আসিফ।