নিশামের ওই ছক্কার পরও সেদিন জেতা হয়নি নিউজিল্যান্ডের। বেশি বাউন্ডারির নিরিখে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল কিউইদের। আজও সেই নিশামই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়েছেন। যদি জেমস গর্ডন বেঁচে থাকতেন কতই না খুশি হতেন! দুই বছর আগের হাহাকার ভুলে প্রিয় শিষ্যকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে যেত তাঁর!
আবুধাবিতে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে একটা সময় মনে হচ্ছিল আজও ইংল্যান্ডের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হতে চলেছে নিউজিল্যান্ডের। দলীয় ১০৭ রানের সময় গ্লেন ফিলিপসকে লিয়াম লিভিংস্টোন ফেরালে ম্যাচ হেলে পড়ে ইংল্যান্ডের দিকে। ম্যাচ জিততে তখন নিউজিল্যান্ডের দরকার ৩০ বলে ৬০ রান। কঠিন এই পরিস্থিতে উইকেটে আসেন নিশাম। পাহাড়সম চাপ মাথায় নিয়ে ভোজবাজির মতো পাল্টে দেন ম্যাচে ছবি। পরের ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ২৪ বলে ৫৭।
ক্রিস জর্ডানের ১৭ তম ওভারের প্রথম বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড় শুরু করেন নিশাম। ওই ওভারে দুই ছক্কা, এক চারে সব মিলিয়ে ২৩ রান যোগ করে সমীকরণ নাগালের মধ্যে নিয়ে আসেন তিনি।
আদিল রশিদকে পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে আবারও গ্যালারিতে আছড়ে ফেলেন নিশাম। ওই ওভারের শেষ বলে মরগানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ঠিকই, তবে এর আগে ১১ বলে ২৭ রান করে কাজের কাজ করে দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও বললেন একই কথা, ‘নিশাম উইকেটে এসেই মারতে শুরু করে। আর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সত্যি বলতে এটাই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দিয়েছে।’
শেষে দুই ওভারে ২০ রানের সমীকরণ এক ওভারেই মিলিয়েছেন ম্যাচ সেরা ড্যারিল মিচেল। ৫ উইকেটে জেতা ম্যাচে ৪৭ বলে ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন এই কিউই ব্যাটার। দুর্দান্ত এ জয়ে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড।