টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে ১২.১ ওভারে ১১৬ করতে হতো বাংলাদেশ দলকে। সেটি আর করতে পারেনি তারা। ১২.১ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে পারে ৮৩ রান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৪.২ ওভারে ৮ উইকেটে ৯২ রান। বৃষ্টির কারণে এক ওভার কমে আসায় ২৮ বলে ম্যাচ জিততে ২২ রান প্রয়োজন তাদের।
তার আগে ঘটে গেছে এক নাটকীয় কাণ্ড। ম্যাচের ১২তম ওভারে তৃতীয় ধাপে নেমেছিল বৃষ্টি। সেই ওভারের পঞ্চম বলটি করার জন্য প্রস্তুত বোলার নুর আহমেদ। এমন সময় প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো গুলবাদিন নায়িব হঠাৎ নিজের পা ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং হাত-পা ছেড়ে শুয়ে পড়েন। বৃষ্টি ঝেঁপে নামার জন্যই যেন সময় নষ্ট করছিলেন তিনি! গুলবাদিনের কাণ্ড দেখে বৃষ্টিবাগড়ায় ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় নবীকে ভেংচি কেটে দেখান। নবী অবশ্য তাঁকে (লিটন) বোঝাতে চান, বিষয়টি নিয়ে মজা করার কিছু নেই ৷ গুলবাদিন যে অভিনয় করেছিলেন, সেটি তিনি বৃষ্টির পর বোলিংয়ে এলেই বোঝা গেছে ৷ বিষয়টি অবশ্য রশিদ খানের ভালো লাগেনি, সেটি তিনি তাঁর অধিনায়ককে মুহূর্তেই বুঝিয়ে দেন।
গুলবাদিনের কাণ্ড চলতে চলতে বৃষ্টিও নামল। খেলোয়াড়েরা সবাই ড্রেসিংরুমে ফেরেন। ওই সময় যদি খেলা পণ্ড হতো, তখনই ২ রানে হেরে যেত বাংলাদেশ।