২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হাংঝুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ মেলেনি আসিফ আলীর। স্বয়ং আসিফও হয়তো জানতেন না, পাকিস্তানের জার্সিতে এমন আক্ষেপেই তাঁর শেষটা হবে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি ক্রিকেটারের সঙ্গে ঘটল এমন কিছুই।
নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে গতকাল পাকিস্তান ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন আসিফ। অবসর প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসিফ লিখেছেন, ‘আজ আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। পাকিস্তানের জার্সি পরা আমার কাছে সবচেয়ে বড় সম্মানের ব্যাপার। দেশের হয়ে খেলতে নামা জীবনের অনেক বড় গর্বের ব্যাপার। ভক্ত-সমর্থক, বন্ধুবান্ধব, কোচ সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উত্থান-পতনের এই সময়ে সমর্থন দিয়ে গেছেন তাঁরা।’
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আসিফকে নিয়েই ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। দল ঘোষণার ঠিক পরদিনই মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তানের জার্সিতে বিদায়বেলায় কন্যাশিশু হারানোর হৃদয়বিদারক ঘটনা মনে পড়েছে আসিফের। ৩৩ বছর বয়সী পাকিস্তানি ব্যাটার বলেন, ‘বিশ্বকাপের সময় আমার কন্যাশিশুকে হারিয়েছিলাম। সে সময় আপনাদের ভরসাই আমাকে শক্তি জুগিয়েছিল।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেও ঘরোয়া ও বৈশ্বিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আসিফ খেলে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত আসিফ পাকিস্তানের জার্সিতে ৫৮ টি-টোয়েন্টি ও ২১ ওয়ানডে খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭৯ ম্যাচে ১৮.০৯ গড়ে করেছেন ৯৫৯ রান। পাকিস্তানের জার্সিতে তিন ফিফটির তিনটিই করেছেন ওয়ানডেতে। নিজের খেলা একমাত্র ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ২ ম্যাচে করেছেন ১৯ রান। ২০২১ ও ২০২২ মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে খেলেছেন। ২৯.৫০ গড় ও ২১৮.৫১ স্ট্রাইকরেটে করেন ৫৯ রান। যার মধ্যে দুবাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ বলে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ আসিফ এ বছরের ২ আগস্ট খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নসের বিপক্ষে এজবাস্টনে। সেই ফাইনালে আসিফের পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস ৯ উইকেটে হেরে হয়েছিল রানার্সআপ।