আশা জাগিয়েও আফগানিস্তানকে ধবলধোলাই করতে পারল না বাংলাদেশ। বরং তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে রশিদ-নবীদের বিপক্ষে হারতে হয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এমন হারের পর স্বভাবতই হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। হারের হতাশার সঙ্গে তাঁর কণ্ঠে আফসোস ঝরল লিটন দাসের সেঞ্চুরিবঞ্চিত হওয়ার ঘটনায়।
আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। ২১ ওভারে ১ উইকেটে দলীয় সংগ্রহ ১০০ ছাড়িয়েছিল স্বাগতিক শিবির। এরপরই মড়ক লাগে টপ অর্ডারে। দু শ পর্যন্ত ছাড়াতে পারেনি দল। ইনিংসের ১৯ বল বাকি থাকতে ১৯২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের দল।
লক্ষ্যটাকে বড্ড মামুলি বানিয়ে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান। তাতে করে বাংলাদেশ যেমন প্রথমবারের মতো ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করেছে তেমনি আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের মূল্যবান ১০ পয়েন্ট হারিয়েছে। সেই হতাশা চেপে রাখেননি অধিনায়ক তামিম। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘খুবই হতাশাজনক। প্রত্যেক ম্যাচেই পয়েন্ট আছে, আলাদা মূল্য আছে। দ্বিতীয় ম্যাচে যেটা যে খেলাটা খেলেছিলাম সেটা পারিনি।’
তামিমের হতাশার গভীরতা অনেক। গভীরতা কতটুকু সেটা খানেকবাদেই ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, ‘কেউই ভবিষ্যতের কথা বলতে পারে না। সামনে আমাদের দক্ষিণ আফ্রিকা, আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে হবে। সামনে পারব কিনা নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। যখন এ ধরনের সুযোগ থাকবে (ঘরের মাঠে সিরিজ) তখন সেটার সর্বোচ্চ সুবিধা তুলে নিতে হবে।’
মূলত লিটনের আউটের পরই বাংলাদেশের ইনিংসের মোড় ঘুরে যায়। ওয়ানডে সংস্করণের ষষ্ঠ সেঞ্চুরির আভাস দিয়ে ডানহাতি ওপেনার ফিরে যান ৮৬ রানে। তাতে হতাশ তামিম, ‘লিটন অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। ও ঠান্ডা মাথায় খেলেছে, যখন সুযোগ এসেছে সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। আমার মনে হয় লিটনও খুব ভুল সময়ে আউট হয়েছে। সে থিতু ছিল, ভালো খেলছিল। যখন এমন কিছু হয় তখন আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন।’