দল সংখ্যায় যেকোনো সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আগামী ২ জুন শুরু হবে। বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া দলগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে স্ট্রাইকরেটের হিসেবে নিচের দিক থেকে দুইয়ে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ হওয়ার আগে এক পরিসংখ্যানে ১০৭.৯৪ স্ট্রাইকরেট নিয়ে শান্তর নিচে শুধু উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা আছেন। বাংলাদেশি অধিনায়ক ১১১.০৬ স্ট্রাইকরেটে ১৯ নম্বরে আছেন। ১৫০.৬৭ স্ট্রাইকরেটে সবার শীর্ষে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে তাই স্বাভাবিকভাবেই নিজের স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও স্ট্রাইকরেটটা ছিল সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সঙ্গে বড্ড বেমানান। ১০৩.৮৪ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন ৮১ রান। আরেক ব্যাটার লিটন দাস করেন ৮৩.৭২ স্ট্রাইকরেটে ৩৬ রান। অথচ তাসকিন আহমেদের সঙ্গে যৌথভাবে ৮ উইকেট নিয়েও বিশ্বকাপের দলে জায়গা হয়নি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের।
তানজিম হাসান সাকিবকে দলে নেওয়া বিষয়ে শান্তর জবাব, ‘দুজন খুব কাছাকাছি ছিল। সমান ম্যাচ খেলেছে। বিষয়টা এমন না যে কেউ একজন ৮ উইকেট নিয়েছে আর একজন নেয়নি। ওই চিন্তা করে আমরা একজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে আরেকজনকে নেওয়া হয়েছে এমনটা নয়। বিষয়টা হচ্ছে দলের জন্য সব মিলিয়ে কি প্রয়োজন। বিশ্বাসের একটা বিষয় আছে না, কারও ওপর একটু বেশি এবং একটু কম আত্মবিশ্বাস থাকার। সেদিক থেকে আমাদের সকলের মনে হয়েছে সাকিব দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারে। আমাদের দলীয় কম্বিনেশন অনুযায়ী।’
আর লিটনের সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে শান্ত বলেছেন, ‘আর শেষ মুহূর্তে আমরা চাইনি লিটনের বদলে নতুন একজন খেলোয়াড় আসুক। যে ভুলটা অতীতে হয়তোবা আমরা করেছি। আমরা চেয়েছি যে দলটা থাকবে সেটা নিয়ে বিশ্বকাপে যাব এবং বিশ্বাসটা যেন সবার থাকে। সবার যেন পরিষ্কার ধারণা থাকে। আমার দলের সবার পরিষ্কার ধারণা আছে, সবাই নিজের ভূমিকা নিয়ে অবগত আছে এবং আশা করব বিশ্বকাপে সেভাবেই ভূমিকাটা পালন করবে।’