একটা সময় বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টি দলের পেস আক্রমণের মূল ভরসা ছিলেন আল আমিন হোসেন। ফর্ম আর চোটের সঙ্গে সখ্য মিলিয়ে লম্বা সময় দলের বাইরে আছেন আল আমিন। চোটে পড়ে খেলতে পারেননি সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। ধীর ধীরে মাঠে ফিরলেও আগের ভালো স্মৃতিগুলোর কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে আল আমিনের।
২০১৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে ছিলেন আল আমিন। আরেকটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যখন দরজায় কড়া নাড়ছে, জাতীয় দল থেকে অনেকটা দূরেই আছেন তিনি। তাসকিন আহমেদ-শরীফুল ইসলামেরা সেই জায়গাগুলো দখল করেছেন। চোটটাই বেশি পিছিয়ে দিয়েছে তাঁকে। চোটে পড়েই লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন আল আমিন। পায়ে অপারেশন করাতে সেখানেও ৪–৫ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল তাঁকে।
এখন অবশ্য বোলিং করতে শুরু করেছেন আল আমিন। আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এই পেসার। জাতীয় দলের সঙ্গে পুরোনো দিনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘এটা তো অবশ্য পোড়ায়। দেখা যাচ্ছে, একটা প্লেয়ার জাতীয় দলে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলছে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। এই সংস্করণ আসলেই প্রথম পছন্দ ছিলাম। এখন যে কোনো কারণে দলের সঙ্গে নেই। চেষ্টা করছি কি হতে পারত বা কি পারত না এসব চিন্তা বাদ দিয়ে কীভাবে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়।’
২০২০ সালের মার্চে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে আল আমিন। এই মুহূর্তে জাতীয় দলে ফিরতে হলে আল আমিনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে। এখন বোলিং বিভাগটা আগের থেকে বেশ সমৃদ্ধও। তবুও জাতীয় দলে ফেরার আশা ছাড়ছেন আল আমিন। এ নিয়ে বলেছেন, ‘যেহেতু ৪-৫ মাস ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম, আমাদের সামনে জাতীয় লিগের খেলা আছে। এখন মূল লক্ষ্য এই লিগে ভালো খেলা। ফিটনেস টেস্ট আছে। ফিটনেসে আরও এগিয়ে থেকে কীভাবে জাতীয় লিগ দিয়ে ভালো কামব্যাক করা যায় সেই চেষ্টার করছি।’