২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচই হয়েছে একতরফা। গতকাল নিউজিল্যান্ডের একতরফা জয়ের পর পাকিস্তানও আজ জিতেছে হেসেখেলে। হায়দরবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসকে ৮১ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। ডাচদের এই বিশাল পরাজয়ের ম্যাচে নজর কেড়েছেন বাস ডি লিড। ২০ বছর আগে বাবার রেকর্ডের তালিকায় বসেছেন ডাচ এই অলরাউন্ডার।
পাকিস্তানের মিডল অর্ডার, লোয়ার মিডল অর্ডারে মূলত ভাঙন ধরিয়েছেন ডি লিড। ৩২ তম ওভারের তৃতীয় বলে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে রিজওয়ানকে বোল্ড করেছেন ডাচ অলরাউন্ডার। ৭৫ বলে ৮ চারে ৬৮ রান করেন রিজওয়ান। একই ওভারে ফিরিয়েছেন ইফতিখার আহমেদকেও। ওভারের শেষ বলে কাট শট খেলতে গিয়ে ডাচ উইকেটরক্ষক স্কট এডওয়ার্ডসের তালুবন্দী হয়েছেন ইফতিখার।
৩২ ওভারে ১৮৮ রানে ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তান এরপর দিশা খুঁজে পায় লোয়ার মিডল অর্ডারে দারুণ এক জুটিতে। সপ্তম উইকেটে ৭০ বলে ৬৪ রানের জুটি গড়েছেন শাদাব খান-মোহাম্মদ নওয়াজ। এই জুটিও ভেঙেছেন ডি লিড। ৪৪ তম ওভারের চতুর্থ বলে শাদাবকে বোল্ড করেছেন ডাচ পেস বোলিং অলরাউন্ডার। পরের বলে হাসান আলিকে এলবিডব্লু করেছেন ডি লিড। শেষ পর্যন্ত ৯ ওভারে ৬২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বনে গেলেন ডাচ অলরাউন্ডার।
২০০৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রতিবেশী ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেন বাসের বাবা টিম ডি লিড। পার্লে শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলীদের নিয়ে গড়া তারকাসমৃদ্ধ ভারতীয় ব্যাটারদের নাচিয়ে ছেড়েছেন টিম। ৯.৫ ওভার বোলিং করে ৩৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। যা বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের সেরা বোলিং। ৪ উইকেটের মধ্যে সেদিন শচীন-রাহুল দ্রাবিড়ের গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট ছিল। ২০ বছর পর আজ বাস ডি লিডের বোলিং বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের সেরা পাঁচ বোলিংয়ের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।
বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের সেরা বোলিং:
টিম ডি লিড-৪/৩৫; প্রতিপক্ষ: ভারত; ভেন্যু: পার্ল; ২০০৩
ফেইকো ক্লুপেনবার্গ-৪/৪২; প্রতিপক্ষ: নামিবিয়া; ভেন্যু: ব্লুমফন্টেইন; ২০০৩
আদিল রাজা-৪/৪২; প্রতিপক্ষ: নামিবিয়া; ভেন্যু: ব্লুমফন্টেইন; ২০০৩
বাস ডি লিড-৪ /৬২; প্রতিপক্ষ: পাকিস্তান; ভেন্যু: হায়দরাবাদ; ২০০৩
বিলি স্টেলিং-৩/১২; প্রতিপক্ষ: স্কটল্যান্ড; ভেন্যু: বাসেটেরে; ২০০৭