সকালে ফুটবল তারকা হামজা দেওয়ান চৌধুরীর আগমনে বিমানবন্দরে ছিল সংবাদমাধ্যমের ভিড়। অথচ সন্ধ্যায় যখন লিটন দাস, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিবেরা ঢাকা পৌঁছান—তখন সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সেই ভিড়টা আর দেখা গেল না। সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছিল না তেমন আগ্রহ।
আরব আমিরাত ও পাকিস্তানে টানা দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যর্থতার ভার নিয়ে কাল দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ। আরেকটি শিক্ষাসফর শেষে বাংলাদেশের চোখ এখন শ্রীলঙ্কা সফরে। এরই মধ্যে দেশে টেস্ট দলের প্রস্তুতি শুরুও হয়েছে। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনের চোখে ব্যর্থতার মূল কারণ সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিজ হারকেই সামনে আনছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আরব আমিরাত সিরিজের হারটাই চাপ তৈরি করেছে। পাকিস্তানে তো ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে ব্যাটই আমরা ঠিকমতো করতে পারিনি। বোলাররাও ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। এখন ক্রিকেটে বেশির ভাগ ম্যাচই ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে হয়। সেখানে বোলারদের সামর্থ্য দেখাতে হয়। আমরা এবার সেটা পারিনি। তবে আমাদের সামর্থ্য আছে, তাই বিশ্বাস রাখতে হবে, আবার ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।’
মাঠের মতো মাঠের বাইরেও টালমাটাল দেশের ক্রিকেট। ৯ মাসের মধ্যে নতুন সভাপতি পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সদ্য দায়িত্ব নেওয়া সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল নিজের দাপ্তরিক ব্যস্ততার মধ্যে দেখলেন বাংলাদেশ দল কীভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন সভাপতির চোখে অবশ্য এই ব্যর্থতা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। তিনি বলেছেন, ‘পারফরম্যান্স গ্রাফ তো সব সময় ওপরে-নিচে যায়। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সবার ক্ষেত্রেই সত্যি। দুই দিন আগে দায়িত্ব নিয়েছি। পুরো পরিস্থিতিটা আগে বুঝে নিতে চাই। তারপর বিশ্লেষণ করব। তবে আমি বিশ্বাস করি, সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে পারফরম্যান্স আবার উন্নতির পথে যাবে।’
আরেক সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক পাকিস্তান সিরিজে হারে তেমন হতাশ নন। আক্ষেপ আরব আমিরাত সিরিজ নিয়ে, ‘আমার কাছে আরব আমিরাতের কাছে হারটাই সবচেয়ে কষ্টের ছিল। পাকিস্তান তো অনেক শক্তিশালী দল। ওদের কাছে হারা নিয়ে আত্মবিশ্বাসে বড় ধাক্কার কথা বলার কিছু নেই।