সরকারের নতুন আইনের কারণে ভারতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সরের চুক্তি বাতিল করেছিল ড্রিম ইলেভেন। যদিও স্পনসরের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) অপেক্ষা দীর্ঘ হলো না। সংস্থাটির নতুন স্পনসর হয়েছে অ্যাপোলো টায়ার্স। এজন্য ভারতীয় ক্রিকেটের শীর্ষ সংস্থাকে মোটা অঙ্কের অর্থ দিতে হবে টায়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটিকে।
নতুন স্পনসরে বেশি লাভবান হলো বিসিসিআই। তাদের সঙ্গে অ্যাপোলো টায়ার্সের চুক্তি হয়েছে ২০২৭ সাল পর্যন্ত। ৩ বছরের চুক্তিতে হরিয়ানাভিত্তিক টায়ার কোম্পানিটি থেকে ৫৭৯ কোটি রুপি পাবে বিসিসিআই। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। চুক্তির সময়কালে ভারতীয় দল দ্বিপাক্ষীক সিরিজে ১২১টি ম্যাচ খেলবে। এছাড়া আইসিসির টুর্নামেন্টে অন্তত আরও ২১টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে তাদের।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি ম্যাচের জন্য বিসিসিআইকে ৪ কোটি ৫০ লাখ রুপি দেবে অ্যাপোলো টায়ার্স। যেখানে আগে প্রতি ম্যাচে ড্রিম ইলেভেনের কাছ থেকে ৪ কোটি রুপি পেতো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। অর্থাৎ আগের চুক্তি থেকে প্রতি ম্যাচের জন্য ৫০ লাখ রুপি বেশি পাবে তারা।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে ভারতীয় দলের স্পনসর হয় ড্রিম ইলেভেন। তাদের সঙ্গে জায়ান্টদের চুক্তি ছিল ৩ বছরের। এই সময়কালে বিসিসিআইকে ৩৫৮ কোটি রুপি দেওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু নতুন গেমিং আইনের কারণে চুক্তির প্রায় এক বছর বাকি থাকতেই সরে দাঁড়ায় প্রতিষ্ঠানটি।
তাদের জায়গায় আসতে খুব বেশি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হয়নি অ্যাপোলো টায়ার্সকে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার মতে, ক্যানভা এবং জেকে টায়ার ভারতীয় দলের স্পনসরশিপে হতে দরপত্র জমা দিয়েছিল। কিন্তু আর্থিকভাবে অ্যাপোলো টায়ার্সের সঙ্গে পেরে উঠেনি তারা। এই প্রতিষ্ঠান দুটি বিসিসিআইকে যথাক্রমে ৫৪৪ ও ৪৭৭ কোটি রুপি দিতে চেয়েছিল। যা অ্যাপোলোর চেয়ে বেশ কম।
ড্রিম ইলেভেন চুক্তি বাদ দেওয়ায় জার্সিতে কোনো লোগো ছাড়াই এশিয়া কাপ খেলছে ভারত। নতুন স্পনসর পেলেও টুর্নামেন্টটির বাকি অংশে সূর্যকুমার, যশপ্রীত বুমরা, শুবমান গিলদের জার্সিতে লোগো উঠবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।