চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাশের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ২০৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দারুণ সঙ্গ দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। দিন শেষে লিটন ১১৩ রানে অপরাজিত থাকলেও সেঞ্চুরি থেকে ১৮ রান দূরে ছিলেন মুশফিক। দ্বিতীয় দিন সকালে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও মুশফিক ফিরলেন ৯ রান দূরে থাকতে।
আগের দিন ১০৮ বলে ফিফটি ছোঁয়া মুশফিক ১৮০ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থেকে কাল দিন শেষ করেছিলেন। আজ দ্বিতীয় দিন সকালে আরও ৩৫ বল খেলে ৯ রান যোগ করে ফিরলেন ৯১ রানে।
দিনের দ্বিতীয় ওভারেই শাহিন আফ্রিদির বলে লিটন (১১৪) এলবিডব্লু হলে মুশফিকও যেন নিজেকে খোলসবন্দী করে নেন। প্রথম ওভারে নোমান আলীর অফ স্টাম্পের বাইরের বল পয়েন্টে ঠেলে এক রান নেওয়ার পর টানা ১১ বল ডট দেন। অভিষিক্ত ইয়াসির রাব্বিও হাসান আলীর বলে ব্যক্তিগত ৪ রানে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হলে মুশফিকও নিজেকে খানিকটা গুটিয়ে নেন। হাসান আলী-শাহিন আফ্রিদির পর ফাহিম আশরাফকে আক্রমণে আনেন বাবর আজম। বোলিংয়ে এই পরিবর্তনই যেন কাল হয়ে দাঁড়ায় মুশফিকের জন্য।
ফাহিমের খাটো লেংথের বল মুশফিকের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে। পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নেন মুশফিক। তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লেতে দেখেন বল তাঁর ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গেছে। ২২৫ বলে ৯১ রানে ফিরতে হয় মুশফিককে। মুশফিক সর্বশেষ টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন প্রায় দেড় বছর আগে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেবার মুশফিক ২০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। দেড় বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ফিরলেন ৯ রান দূরে থাকতে।
গতকাল দলীয় ৪৭ রানে মুমিনুল আউট হলে উইকেটে এসেছিলেন মুশফিক। তিনি উইকেটে আসার পর নন স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ফিরে যেতে দেখেন নাজমুল হাসান শান্তকে। পরে লিটনকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে এগোতে থাকেন মুশফিক। ইনিংসের শুরু থেকে উইকেটে আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকার প্রবণতা ছিল মুশফিকের। এর ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। শুরুতে কিছুটা সময় নিলেও উইকেটে থিতু হওয়ার পর বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলেছেন।