ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের আগে অনুশীলনে অনেক সময় দিয়েছেন সৌম্য সরকার। বিভিন্ন রকম শটের অনুশীলন করেছেন। তবে সেই অনুশীলনের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেননি। সৌম্য সরকারকে নিয়ে প্রচলিত ‘শূন্য সরকার’ কথার বাস্তব প্রমাণ দেখা গেল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মঞ্চে।
দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অভিযানে নেমেছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। ব্যাটিং নিয়ে প্রথম দুই ওভারের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর, উইকেট দুটিই সমান হয়ে যায়। প্রথম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ শামির ইনসুইং বল ড্রাইভ করতে যান সৌম্য। ব্যাটের কানায় লাগা বল এজ হয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলের হাতে। ৫ বল খেলেও সৌম্য রানের খাতা খুলতে পারেননি।
সৌম্যর চেয়ে আরও দ্রুত সময়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন শান্ত। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে হারশিত রানার বল শান্ত কাভারের ওপর তুলে মারতে যান। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়া বল শর্ট কাভারে তালুবন্দী করেন বিরাট কোহলি। সৌম্য, শান্ত দুজনে মিলে খেলেছেন কেবল ৭ বল। দুজনের রানের যোগফল ০।
টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার শূন্য রানে আউট হওয়ায় বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১.৪ ওভারে ২ উইকেটে ২ রান। বাংলাদেশের এমন বিপদের মুহূর্তে চার নম্বরে মেহেদী হাসান মিরাজ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৬ রান করেছে তারা। তাওহীদ হৃদয় ২৮ রানে অপরাজিত। জাকের আলী অনিক করেছেন ২৪ রানে ব্যাটিং করছেন।
ওয়ানডেতে এই নিয়ে ৯ বার ডাক মেরেছেন সৌম্য। তাঁর সমান ৯ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুজনেই আজ ভারতের বিপক্ষে একাদশে আছেন। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে ওয়ানডেতে ১৯ বার ডাক মেরেছেন তামিম ইকবাল।
আইসিসির আরও এক টুর্নামেন্টে সৌম্যর শুরুটা হল শুন্য দিয়ে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাঁর শুরুটা হয়েছিল ডাক মেরে। ডালাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত বছর ২ বল টিকেছিলেন তিনি।