তারকা খেলোয়াড়দের ‘খ্যাতির বিড়ম্বনা’ তো নতুন কোনো ঘটনা নয়। সঙ্গে জড়িয়ে যান তাদের পরিবারও। এমনকি নকল প্রযুক্তির ফাঁদে পড়ে যান তারকা খেলোয়াড় ও তাঁদের পরিবার। তেমনই প্রযুক্তির ফাঁদে পড়েছেন ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার।
শচীন মূলত ডিপফেকের শিকার হয়েছেন। এক বেটিং অ্যাপ ভারতীয় কিংবদন্তির নকল কণ্ঠ বসিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সেই বেটিং অ্যাপে কোনো কথাই বলেননি শচীন। ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি বিজ্ঞাপন দেখার পর আজ দুপুরে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছেড়েছেন। তাঁর মতে, সহজেই এখন লাখ লাখ টাকা আয় করা যায়। একই সঙ্গে তিনি প্রযুক্তির যথেচ্ছ অপব্যবহারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অপব্যবহার বন্ধ করতে এক বিবৃতিতে ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি বলেন, ‘এই ভিডিওগুলো মিথ্যা। প্রযুক্তির যথেচ্ছ অপব্যবহার দেখা খুবই বিরক্ত। এমন ভিডিও, অ্যাডভার্টাইজ, অ্যাপগুলোকে গণহারে রিপোর্ট করার অনুরোধ করছি। সামাজিকমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ঠিকভাবে নিতে হবে। উল্টোপাল্টা তথ্য ও ডিপফেকের ঘটনা বন্ধ করতে সচেষ্ট হতে হবে।’
এর আগে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় ডিপফেকের শিকার হয়েছিলেন সারা টেন্ডুলকার। ভারতীয় ব্যাটার শুবমান গিলের সঙ্গে তাঁর এক ছবি ভাইরাল হয়। তবে মূল ছবিতে তাঁর সঙ্গে গিল নন, ছিলেন ছোট ভাই অর্জুন টেন্ডুলকার। প্রযুক্তির সহায়তায় এই ডিপফেকটি করেছিলেন কেউ একজন। কারও শরীর বা কণ্ঠ নকল করে ভুয়া ছবি বা ভিডিও তৈরি করা হয় অহরহ। ভুয়া জিনিসটা এতটাই বাস্তবসম্মত করা হয় যে সেখানে আসল ও নকলের মধ্যে পার্থক্য বোঝা খুব মুশকিল।