১৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি না খেললেও বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় ভালোভাবেই ছিলেন তামিম ইকবাল। নির্বাচকদের যত চিন্তা ছিল তাঁর যোগ্য সঙ্গী বের করার দিকে।
কিন্তু ১ সেপ্টেম্বর আচমকা ফেসবুকে এসে তামিম ঘোষণা দেন তিনি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন না। বিষয়টি দেশসেরা ওপেনারের সমর্থকদের মনে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো তো ঠেকেছেই, কিছুটা হতাশ নির্বাচকেরাও।
আজ দুপুরে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই ওঠে তামিম প্রসঙ্গ।
এ নিয়ে মিনহাজুল বলেন, ‘অবশ্যই তামিম তিন সংস্করণে আমাদের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। আমরাও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে ওকে পাব। এটা (তামিমের অনুপস্থিতি) সত্যি দুর্ভাগ্য। তামিমকে দল ও আমরাও মিস করব। তবু আমরা আত্মবিশ্বাসী ও ভালোভাবে ফিরে আসবে।’
তামিমের সঙ্গে কথা হয়েছিল জানিয়ে মিনহাজুল বলেন, ‘ওর (তামিম) সঙ্গে আমিও কথা বলেছিলাম চোটের বিষয়ে। সব কিছু ইতিবাচক ছিল। হঠাৎ ও নিজেই সরিয়ে নিয়েছে।’
একের পর এক ম্যাচ জিতলেও এখনো বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার কারণ টপ অর্ডার। সেখানে তামিমের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে না পাওয়ায় সেই দুশ্চিন্তাটা আরও বেড়েছে। তবে মিনহাজুল তাকাতে চান সামনের দিকে, ভরসা রাখতে চান যাঁরা আছেন তাদের ওপর, ‘অবশ্যই যারা সুযোগ পেয়েছে তারা বিরাট প্ল্যাটফর্মের মধ্যে আছে। তাদের অবশ্যই সামর্থ্য আছে ভালো খেলার। বিশ্বকাপে এই ওপেনারদের (লিটন, সৌম্য, নাঈম) ওপর আমরাও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আশা করি ওরা ভালো করবে।’
তামিমের বদলে কাকে নেওয়া হয়েছে সেটা অবশ্য স্পষ্ট করেননি মিনহাজুল। শুধু বলেছেন, এখন ওপেনার যারা আছে লিটন, সৌম্য ও নাঈম এ তিনজনকেই আমরা রেখেছি।
তামিম বিশ্বকাপের দল থেকে সরে দাঁড়ালেও দলকে শুভকামনাই জানিয়েছেন। দল ঘোষণার পর সবার ছবি ফেসবুকে দিয়ে তামিম লিখেছেন, ‘যারা বিশ্বকাপের দলে আছো তাদের সবাইকে অভিনন্দন। পুরো দলের জন্য আমার শুভকামনা রইল।’