সরকারের পরিবর্তনের পরই বিসিবির অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করছেন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্লাব কর্তাব্যক্তিরা। তাঁদের অনেকে এত দিন নীরব থাকলেও এখন বিসিবির সমালোচনায় মুখোর।
আজ বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন বিএনপিপন্থী বেশ কয়েকজন ক্লাব ক্রিকেটের সংগঠক, সাবেক-বর্তমান কাউন্সিলররা। ক্রিকেটারদের কল্যাণ সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল জানালেন, বিসিবির একজন সাবেক ম্যাচ রেফারি হিসেবে তাঁর চোখে নানা অনিয়ম চোখে ধরা পড়েছেন। তিনি আজ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের প্রাইজমানি এখনো ক্রিকেটারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়নি। অথচ এটি টুর্নামেন্ট শেষে ১৫ দিনের মধ্যে ক্রিকেটারদের বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। সেই টাকা তো দেয়ইনি, সবশেষ (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপেরও ১৫ দিন চলে গেছে। এর আগেও (২০১৯ বিশ্বকাপের পর) এটি হয়েছে।’
অভিযোগটি নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘টাকাই তো এখনো পাঠায়নি। টাকা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে পাঠায়। শ্রীলঙ্কা যেমন গত মাসে পেয়েছে। ট্যাক্স ডিডাকশন, কিছু ফাইন্যান্সিয়াল কমপ্লায়েন্স আছে। প্রাইজমানি পেতে ওখানে (ভারতে) চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট ফার্ম পর্যন্ত নিয়োগ দিতে হয়েছে। আর্থিক লেনদেনের প্রক্রিয়া একেক দেশে একেকরকম। যাদের সঙ্গে প্রক্রিয়াটা মসৃণ সেসব সদস্য দেশ আগে টাকা পেয়েছে। যাদের একটু জটিল, তাদের এই প্রক্রিয়া মেনে পেতে হচ্ছে। এটার মানে এই নয় এটা ক্রিকেট বোর্ড আটকে রেখেছে।’
২০২৩ বিশ্বকাপের মূল পর্বে অংশগ্রহণের জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলার প্রাইজমানি পেয়েছিল তারা। কোনো ম্যাচ না জিতলেও ওই পরিমাণ অর্থ নিশ্চিত ছিল তাঁদের জন্য। তবে দুই ম্যাচ জেতায় ৪০ হাজার করে আরও ৮০ হাজার মার্কিন ডলার বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার পাবেন সাকিব-শান্তরা, বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটি প্রায় ২ কোটি টাকা।