হোম > খেলা > ক্রিকেট

হাথুরু জানেন না বাজবল কী 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাদা পোশাকে সাদা বলের ক্রিকেটই যেন মিরপুরে বাংলাদেশ খেলেছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে। আফগান বোলারদের তুলোধুনো করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হকদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দেখে অনেকেরই যেন মনে পড়ল বাজবল ক্রিকেটের কথা। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। 

টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রানরেটের রেকর্ড বাংলাদেশ নিজের করে নেয় মিরপুর টেস্টেই। আফগানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। রানরেট ছিল ৫.৩১। শান্ত, জাকির হাসান, মুমিনুল-সবাই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। আর টেস্টে সাদা বলের স্টাইলে ব্যাটিংয়ের ধরনের সঙ্গে তো গত বছরই নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়। ইংল্যান্ড। বেন স্টোকস টেস্ট অধিনায়ক ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম টেস্ট দলের কোচ হওয়ার পরই ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা শুরু করে ইংল্যান্ড। ক্রিকেট বিশ্বে যা পরিচিত পেয়েছে বাজবল নামে। বাজবল থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েই কি বাংলাদেশ এমন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছে মিরপুরে, সে প্রসঙ্গে আজ মিরপুরে সংবাদসম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘না (বাজবল থেকে অনুপ্রাণিত নই)। আমরা শুধু লাল বলের ক্রিকেট খেলেছি। আমি জানি না, বাজবল কী। আমরা শুধু নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলেছি।’ 

শুধু দ্বিতীয় ইনিংসেই নয়, মিরপুরে প্রথম দিন থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকেরা ব্যাটিং করেছে ৪.৪৪ রানরেটে। ৮২.৮২ স্ট্রাইকরেটে ২৭০ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন শান্ত। শিষ্যদের এমন আক্রমণাত্মক খেলার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে জানান হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশ কোচের ভাষ্য, ‘যদি কন্ডিশন সাহায্য করে, তাহলে অবশ্যই এভাবে খেলব। আমরা সেভাবেই অনুশীলন করেছি। ছেলেদেরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে এভাবে খেলার জন্য। খেলাটা তো মূলত রানের। কন্ডিশন যদি কঠিন হয়, তাহলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যাটিং করব। শান্তকে কৃতিত্ব দিতে হবে তার দুই ইনিংসের ব্যাটিংয়ের জন্য। বিশেষ করে প্রথম দিনের প্রথম দুই ঘন্টা সে আর জয় যেভাবে খেলেছে, সেটা ড্রেসিংরুমের সবার স্নায়ু ঠাণ্ডা করেছে।’ 

হাথুরুসিংহে আরও যোগ করেছেন, ‘আমি জানি না আপনারা দেখেছেন কি না, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছি এটা শুধুমাত্র একটা টেস্ট জয় নয়, তার চেয়েও বিশেষ কিছু। এটা দিয়ে বুঝিয়েছি, আমরা যেভাবে এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হয়েছি, সেটা এর আগে কখনো হয়নি। আমরা ফাস্ট ও সবুজ উইকেট তৈরি করেছি। এই ধরনের উইকেটে খেলে জেতা বিরাট ব্যাপার। অনেক মানসিক বাধা পার করেছি। আমরা কেমন করব ম্যাচের আগে অনেকেই সেটা নিয়ে সন্দেহ করেছিল। আমরা এখানে সাধারণত ভিন্ন ধাচের ক্রিকেট খেলি।’

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

সবার আগে বিশ্বকাপের দল দিল পাকিস্তান

ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকাহত বিসিবি-বাফুফে

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সেমিফাইনাল দেখবেন কোথায়

বিশ্বকাপে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রতিপক্ষ কারা, জানাল বিসিবি

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আম্পায়ারদের কাছে ব্যাখ্যা চাইছেন স্টেইন

আম্পায়ারিং নিয়ে অসন্তুষ্ট ইংল্যান্ড, আইসিসির কাছে করবে নালিশ

হঠাৎ কেন চেয়ার ছুড়ে মারতে গিয়েছিলেন ম্যাকগ্রা