শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের কাছে বাংলাদেশ যেন খুবই ‘প্রিয়।’ সিলেট, চট্টগ্রাম দুটি টেস্টেই রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছে লঙ্কানরা। যেখানে চট্টগ্রামে প্রথম দুই দিন শেষেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই নিজেদের দখলে নিয়েছে সফরকারীরা। তবে বাংলাদেশের জয়ের আশা ছাড়ছেন না দলটির ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কা এরই মধ্যে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে। চট্টগ্রামে গতকাল শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসে কোনো সেঞ্চুরি না হলেও লঙ্কানরা করেছে ৫৩১ রান। অন্যদিকে টেস্টে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স কথা বলছে না বাংলাদেশের পক্ষে। চট্টগ্রাম টেস্টের হিসেব বাদ দিলে সিলেটে শ্রীলঙ্কা ও মিরপুরে নিউজিল্যান্ড—এই দুই টেস্টের চার ইনিংসে কোনোটিতেই ২০০ পেরোতে পারেনি বাংলাদেশ। এই চার ইনিংস মিলে বাংলাদেশ করেছে ৬৮৬। জাকির হাসান ৫৯ ও মুমিনুল হকের ৮৭ রান ছাড়া বাংলাদেশের স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে বলার মতো কোনো স্কোর নেই।
হেম্পকে আশা জাগাতে পারে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের অতীত পরিসংখ্যান। যেখানে চট্টগ্রামে লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ সবশেষ ৩ ম্যাচের ৩ টিতেই ড্র করেছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ দুই ইনিংসেই করেছে ৫১৩ রান ও ৩০৭ রান। এ কারণেই হয়তো চট্টগ্রামে এবার ৪৭৬ রানে পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের জয়ের আশা দেখছেন হেম্প। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে আজ বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে আসা হেম্প সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এখনো ম্যাচ জয়ের কথা ভাবছি। যেখানে আমরা ৪৮০ রানের মতো রানে পিছিয়ে আছি, সেখানে এটা একটু অদ্ভুত শোনাতে পারে। আগামীকালটাই হবে প্রধান খেলা। ব্যাটিং যদি ভালো করতে পারি, তাহলে আপনি জানেনও না কী হতে পারে। প্রথম কথা হচ্ছে, তিন সেশন আগামীকাল ভালো ব্যাটিং করতে হবে।’
৫৩১ রানের পর ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। জাকির ও মাহমুদুল হাসান জয় স্বাগতিকদের দুই ওপেনার ১২.২ ওভারে যোগ করেন ৪৭ রান। সেখানে ১৩ তম ওভারের তৃতীয় বলে জয়কে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন শ্রীলঙ্কার পেসার লাহিরু কুমারা। বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৫৫ রানে। শেষ বিকেলে উইকেট হারানোয় হতাশ হেম্প বলেন, ‘জয়ের আউটটাই হতাশাজনক। কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করতে পারলে ভালো হতো। তারা খুবই তরুণ। তাই একটু সময় লাগে। আমি খুশি তারা যেভাবে খেলেছে।’
আরও পড়ুন: