রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরার মতো তারকা ক্রিকেটাররা কেউ খেলেননি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজ। তবু ভারতকে মনে হয়নি খুব একটা চাপে রয়েছে। বেশ হেসেখেলেই এবার ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে ভারত ক্রিকেট দল, যা দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের ওয়ানডে সিরিজ জয়। ভারতীয় বাঁহাতি পেসার এখানে আইপিএলের অবদান দেখছেন।
নিয়মিত অধিনায়ক না থাকায় ভারতকে এবার নেতৃত্ব দিয়েছেন লোকেশ রাহুল। রাহুলের নেতৃত্বে সর্বশেষ ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছিল ভারত। সেবার রোহিত না থাকলেও ছিলেন কোহলি, বুমরার মতো তারকারা। প্রায় দুই বছর পর বেশ কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছাড়াই ভারত ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। সাই সুদর্শন, রিংকু সিং, আর্শদীপ সিং, আবেশ খানের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। সুদর্শন ৩ ওয়ানডেতে ২ সেঞ্চুরিতে করেন ১২৭ রান। গড় ৬৩, ৫০ ও স্ট্রাইক রেট ৮৯.৪৩। টি-টোয়েন্টিতে শেষে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের অভ্যাস ওয়ানডেতেও টেনে এনেছেন রিংকু সিং। পার্লে গতকাল সিরিজ নির্ধারণী ওয়ানডেতে ২৭ বলে করেছেন ৩৮ রান।
বোলিংয়ে দুর্দান্ত ছিলেন আর্শদীপ সিং। ৩.৫১ ইকোনমিতে ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন তিনি, যার মধ্যে জোহানেসবার্গে প্রথম ওয়ানডেতে নিয়েছেন ৫ উইকেট। পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নেন ১ উইকেট আর গতকাল পার্লে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ছন্দে থাকা টনি ডি জর্জির উইকেট নিয়ে আফ্রিকার ইনিংসে ভাঙন ধরানোর কাজটা মূলত তিনিই শুরু করেন। আইপিএলে যেভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে শেষের ওভারগুলোতে বোলিং করেন, আর্শদীপ যেন এবারের ওয়ানডে সিরিজে তেমনটাই দেখালেন। ওয়ানডে সংস্করণ হলেও সুদর্শন, রিংকুরা দেখিয়েছেন যে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আর্শদীপ বলেন, ‘আমাদের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য আইপিএল ভালো একটা মঞ্চ। আইপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের খুব বেশি পার্থক্য নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মানসিকতা আপনি বুঝতে পারবেন। এটা বেশ কাজে দেয়। আমরা যে সুযোগগুলো পেয়েছি, তাতে বেশ খুশি। ভবিষ্যতে ভালো করতে সবটা উজাড় করে দেব আমরা।’