বিপিএল ফাইনাল
টসভাগ্য পক্ষে যায়নি। সে নিয়ে আর আক্ষেপও হয়তো করছে না চিটাগং কিংস। কেননা পারভেজ হোসেন ইমন, খাজা নাফে ও গ্রাহাম ক্লার্কের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বিপিএল ফাইনালে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে তারা। ৩ উইকেটের বিনিময়ে ফরচুন বরিশালকে ছুড়ে দিয়েছে ১৯৫ রানের লক্ষ্য।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কিন্তু বোলাররা তার সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করতে পারেননি। উদ্বোধনী জুটিতে ১২১ রান যোগ করেন খাজা নাফে ও ইমন। বিপিএল ফাইনালে উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড এটি। এর আগে শতরানের কোনো উদ্বোধনী জুটি ছিল না। বরিশালের হয়ে গত বছর ৭৬ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
ব্রেকথ্রু পেতে বরিশালকে অপেক্ষা করতে হয় ১৩ ওভার পর্যন্ত। এবাদত হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাফে। ৪৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রানে ফেরেন পাকিস্তানি এই ওপেনার। বিপিএলের এবারের আসরে এটি তাঁর তৃতীয় ফিফটি।
আসরজুড়ে ফর্মহীনতায় থাকা ইমন ফাইনালে জ্বলে উঠলেন ঠিকই। তার সঙ্গে রানের চাকা সচল রাখেন গ্রাহাম ক্লার্ক। দুজনে মিলেই ইনিংস শেষ করার পথে ছিলেন। কিন্তু শেষ ওভারে রান আউটে কাটা পড়েন ক্লার্ক। ৭০ রানের জুটি গড়ার পথে ২৩ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি ইমন। অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৮ রান নিয়ে।
চিটাগংয়ের সংগ্রহটি বিপিএল ফাইনালের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৭ সালে রেকর্ড ২০৬ রান করেছিল রংপুর রাইডার্স। এ ছাড়া ২০১৯ সালে ১৯৯ রান করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।