কদিন আগেই ফরচুন বরিশালকে নেতৃত্ব দিয়ে বিপিএলে শিরোপা জেতান তামিম ইকবাল। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকও ছিলেন তিনি। তবে এবার সংস্করণ বদলাতেই যেন হিমশিম খাচ্ছেন তামিম। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে তিনি রান করতেই যেন ভুলে গেছেন।
তামিমের মতো ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাসও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই ডাক মেরেছেন লিটন। ফলশ্রুতিতে বাদ পড়েন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দল থেকে। এরপর আজ তিনি খেলতে নেমেছেন ডিপিএলে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে। তবে ১৯ বলে করেছেন ৫ রান।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পায় প্রাইম ব্যাংক। শুরুতেই তামিমের উইকেট হারিয়ে প্রাইম ব্যাংকের স্কোর হয়ে যায় ২.৫ ওভারে ১ উইকেটে ১৩ রান। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন জাকির হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে জাকিরের সঙ্গে ১৫৭ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ইমন। ইমন করেছেন সেঞ্চুরি আর ফিফটি পেয়েছেন জাকির। এই জুটিতেই মূলত বড় স্কোর গড়ার পুঁজি পায় প্রাইম ব্যাংক। ৭৭ বলে ৭৯ রান করা জাকিরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৫ রান করে প্রাইম ব্যাংক। ১১৪ বলে ৫টি করে চার ও ছক্কায় ১০০ রান করা ইমনই দলটির সর্বোচ্চ স্কোরার।
৩০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাবলীলভাবেই এগোতে থাকে সিটি ক্লাব। দুই ওপেনার সাদিকুর রহমান ও জয়রাজ শেখ ১২ ওভারে ৬০ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে সাদিকুরকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন সাঞ্জামুল ইসলাম। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উইকেটরক্ষক শাহরিয়ার কমলকে নিয়ে ৭৬ রানের আরও এক জুটি গড়তে অবদান রাখেন জয়রাজ। ৭৮ বলে ৫৫ রান করা জয়রাজ ফিরলে ভেঙে যায় এই জুটি ও ৩০.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৬ রান হয়ে যায় দলটির স্কোর। ছোট ছোট এমন কার্যকরী জুটি হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট জুটিতে। তাতে দলটির এক পর্যায়ে স্কোর হয়ে যায় ৪৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২২০ রান। শেষ ৪ বলে যখন ১০ রানের দরকার হয়, তখন তৃতীয় বলে মেহেদীকে ছক্কা মেরে জয়ের আরও কাছে নিয়ে যান সাজ্জাদুল হক রিপন। তবে শেষ তিন বলে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে সিটি ক্লাবের থেকে জয় কেড়ে নেন মেহেদী। ব্যাটিংয়ে ১৮ রান ও বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মেহেদী।
অন্যদিকে লিটন ব্যর্থ হলেও আবাহনী জিতেছে হেসেখেলে। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেওয়া শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ৪২.৪ ওভারে ১৬৯ রানে অলআউট হয়েছে। রান তাড়া করতে নেমে ৯৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে আবাহনী।আরেক ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১২১ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শেখ জামালের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ৯৭ বলে করেন ১০১ রান।