দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে টি–টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। সিরিজে টিকে থাকার জন্য তাই দ্বিতীয় ম্যাচে জিততেই হতো তাদের। এমন সমীকরণে ১৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে ইংল্যান্ড। এই জয়ের পথে বেশ কিছু রেকর্ড গড়েছে তারা।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে রানের হিসাবে ইংল্যান্ডের এটা সবচেয়ে বড় জয়। এতদিন তাদের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ১৩৭ রানের—প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করে ৩০৪ রানের পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। টোয়েন্টিতে এটা তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এই সংস্করণে তৃতীয় দল হিসেবে ৩০০ রানের কোটা পার করল ইংল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহটা ৩৪৪ রানের। গাম্বিয়ার বিপক্ষে এই সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩১৪ রান করেছিল নেপাল, যেটা আছে তালিকার দুইয়ে। যদিও আইসিসির দুই পূর্ণ দেশের লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের ৩০৪ রানই টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
ইংল্যান্ডকে রেকর্ড পুঁজি এনে দিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ফিল সল্ট। ৬০ বলে ১৫ চার ও ৮ ছয়ের সাহায্যে খেলেন ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস। টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডকে আরও সমৃদ্ধ করলেন এই ওপেনার। তার আগের ইনিংসটি ছিল ১১৯ রানের।
১৪১ রানের ইনিংস খেলার পথে ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করেন সল্ট। টি-টোয়েন্টিতে এটা ইংল্যান্ডর হয়ে দ্রুততম শত রানের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল লিয়াম লিভিংস্টোনের দখলে। ৪২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
সল্টের রেকর্ড গড়া ব্যাটিংয়ের দিনে কম যাননি জস বাটলার। ৩০ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ২১ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন হ্যারি ব্রুক। এ ছাড়া ১৪ বলে ২৬ রান এনে দেন জ্যাকব বেথেল।
জবাবে ১৫৮ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন এইডেন মার্করাম। ৩২ রান আসে বিজর্ন ফরচুনের ব্যাট থেকে। সমান ২৩ রান করেন ট্রিস্টান স্টাবস ও ডোনোবান ফেরেইরা।