পার্থ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেই বোঝা গিয়েছিল পাকিস্তানের ভাগ্যে কী আছে। আজ তার প্রমাণও পাওয়া গেল। সেটিও আবার চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগেই।
জিততে হলে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে হতো পাকিস্তানকে। রেকর্ড ৪৫০ রানের লক্ষ্য ছিল তাদের সামনে। এর আগে ২০০৩ সালে সর্বোচ্চ ৪১৮ তাড়া করে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নতুন রেকর্ড গড়া পাকিস্তানের পক্ষে যে অসম্ভব, সেটা আগেই জানা ছিল। তাই বলে চতুর্থ ইনিংসে ৮৯ রানে বিধ্বস্ত হবে পাকিস্তান।
১০০-এর আগেই অলআউট হওয়ায় ৩৬০ রানের পরাজয় দেখেছে পাকিস্তান। ১৯৯৫ সালের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কখনো জয় পায়নি সফরকারীরা। এটি টানা ১৫তম হার পাকিস্তানের।
রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ও ব্যক্তিগত ২ রানের সময় ড্রেসিংরুমে ফেরেন আবদুল্লাহ শফিক। শুরুর এই ধাক্কা পরে সামলাতে পারেননি পাকিস্তানের কোনো ব্যাটার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৮৯ রানে অলআউট হন তাঁরা। পাঁচে নেমে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন সৌদ শাকিল। প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দেওয়ার ম্যাচে ৩টি করে উইকেট নেন দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড।
আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নেওয়ার পথে রেকর্ড গড়েছেন নাথান লায়ন। অজিদের তৃতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। কীর্তিটি তিনি যে গড়বেন পার্থ টেস্টে, তা প্রথম ইনিংস শেষেই বোঝা গিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়ে ৪৯৯ উইকেটে ছিলেন। আজ ফাহিম আশরাফকে এলবিডব্লিউ করে কীর্তিটি গড়েন অফ স্পিনার।
খাজার সেঞ্চুরির জন্য অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ঘোষণাও দেরি হচ্ছিল। তাঁর আউটের পরেই ইনিংস ঘোষণা করে দেয় স্বাগতিকেরা। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ৬৮ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন মিচেল মার্শ। ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার খুররম। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৫৩ রান ও ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অলরাউন্ডার মার্শ।