ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে ২৩১ রান তুলতেই অলআউট নিউজিল্যান্ড। কেইন উইলিয়ামসনের ফিফটি (৫২) ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ৪৭ রান ছাড়া বলার মতো কিছু ছিল না কিউইদের। সেই নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ৪০০-এর বেশি রান তুলে ফেলেছে স্বাগতিকেরা। হাতে এখনো তাদের ৬ উইকেট রয়েছে।
টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা এই রান তাড়া করে জিতেছিল। ২২ বছরে এর চেয়ে বড় লক্ষ্য বারবার চতুর্থ ইনিংসে দলগুলোর সামনে এসেছিল। কিন্তু কেউই সফল হয়নি। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে পাহাড় সমান লক্ষ্য দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৪১৭ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে। ৬৪ রানের লিডসহ স্বাগতিকদের স্কোর ৪৮১ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩২ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ৮৬ রান যোগ করেন ডেভন কনওয়ে ও টম লাথাম। ২৭তম ওভারের শেষ বলে ডেভন কনওয়েকে (৩৭) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ওজে শিল্ডস। তিন নম্বরে নামা উইলিয়ামসন আউট হয়েছেন ৯ রান করে। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে ৩২.৫ ওভারে ২ উইকেটে ১০০ রানে পরিণত হয় নিউজিল্যান্ড।
চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা রাচিন রবীন্দ্র অধিনায়ক লাথামের সঙ্গে ম্যারাথন জুটি গড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। তৃতীয় উইকেটে ৩২৮ বলে ২৭৯ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন তাঁরা (রাচিন-লাথাম)। দুই ব্যাটারই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। টেস্টে এটা লাথামের ১৪তম সেঞ্চুরি। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে রাচিন তুলে নিয়েছেন চতুর্থ সেঞ্চুরি। ৮৮তম ওভারের তৃতীয় বলে লাথামকে ফিরিয়ে ম্যারাথন জুটি ভাঙেন কেমার রোচ। ২৫০ বলে ১২ চারে ১৪৫ রান করেন লাথাম।
নিউজিল্যান্ডের আরেক সেঞ্চুরিয়ান রাচিনও দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। ৯৩তম ওভারের প্রথম বলে কিউই এই বাঁহাতি ব্যাটারকে বোল্ড করেছেন কেমার রোচ। ১৮৫ বলে ২৭ চার ও ১ ছক্কায় ১৭৬ রান করেন রাচিন। নিউজিল্যান্ডের স্কোর তখন হয়ে যায় ৯২.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৪১০ রান। রাচিনের বিদায়ের পর খেলা হয়েছে ১৭ বল। উইল ইয়াং ২১ ও মাইকেল ব্রেসওয়েল ৬ রানে আগামীকাল চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।