জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় গত রোববার এ বৈঠক হয় বলে দলটির একটি সূত্রে জানা গেছে।
প্রায় দুই সপ্তাহের ইউরোপ সফর শেষে গত সোমবার দেশে ফেরেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তবে নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এখনো ফেরেননি। বৈঠকের বিষয়টি মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শফিকুর রহমান।
শফিকুর রহমান জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে দেখা করেছেন। একই সঙ্গে সেখানে তারেক রহমানের সঙ্গেও কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামায়াতের আমির।
চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে লন্ডনে যান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় আছেন। দীর্ঘ কয়েক বছর পরে এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের সাক্ষাতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান। তিনি সেখানে লেখেন, ‘ইউরোপ সফর শেষে লন্ডন পৌঁছে সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেশে ফিরেছেন। জিয়া দম্পতির বড় ছেলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় গিয়ে তাঁরা দেখা করেন। দীর্ঘ এ সাক্ষাৎ পর্বে তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়া এখন তাঁর পুত্রের বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
মারুফ কামাল খান আরও লিখেছেন, ‘বেগম জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতার সাক্ষাতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। দুই ডাক্তারের এ সাক্ষাৎ রাজনীতির রসায়নে নতুন কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে নাকি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েই থাকবে, তা বুঝতে হলে আমাদের চোখ রাখতে হবে সামনের দিকে।
বেগম জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিলেত যাওয়ার আগে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও সস্ত্রীক তাঁর বাসায় গিয়ে দেখা করেছিলেন। সে সাক্ষাৎকার নিয়েও বিশদ কিছু জানা যায়নি।’
আরও খবর পড়ুন: