প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিছু হলে আওয়ামী লীগ ঘরে বসে আঙুল চুষবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও কটূক্তির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ হুঁশিয়ারি দেন।
১৯৭৫ আর ২০২২ এক কথা নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন, ইনডেমনিটি দিয়েছেন। শেখ হাসিনার কিছু হলে আওয়ামী লীগ ঘরে বসে আঙুল চুষবে না। আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে, রাজপথে থাকবে, রাজপথে সমুচিত জবাব দেবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার অপমান আমরা কোনো দিনও সহ্য করব না, আমরা প্রতিবাদ করব, প্রতিরোধ করব, প্রতিশোধ নেব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল বলেন, পদ্মা নদীর দুই দিকে নাকি খালেদা জিয়া ভিত্তিপ্রস্তর দিয়েছেন। আমি তাঁকে বলেছি, কবে কখন কোথায় আপনার নেত্রী ভিত্তিপ্রস্তর দিয়েছেন? নাজমুল হুদা বলেছেন, এমন কিছু হয়নি। অথচ ফখরুল মিথ্যাচার করছেন। তাঁকে আন্তর্জাতিক নোবেল কমিটি মিথ্যাচারের ওপর একটা নোবেল পুরস্কার দিতে পারে। ফখরুল সাহেব, আর কত মিথ্যা বলবেন?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার অপরাধ, আপনারা যা করতে পারেননি সেটা শেখ হাসিনা করে দেখিয়েছেন। শেখ হাসিনার অপরাধ, পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় করেছেন। তাঁর অপরাধ, ঢাকায় মেট্রোরেল করেছেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করেছেন। শেখ হাসিনার অপরাধ, আজকে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নিজেরা কিছু করতে পারেন নাই। যে নিজে চোর, সে-ই অন্যকে চোর বলে। যে নিজে লুটপাট করেছে, সে-ই অন্যকে লুটপাটকারী বলে। তোমরা মিথ্যাচার করো, অপপ্রচার করো। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন করে এসবের সমুচিত জবাব দেব।’
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুব উল আলম হানিফ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।